শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

সোনালী ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ নিলো ইসলামী ব্যাংক

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

নীতি লঙ্ঘন করে সুদ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। তারল্য সহায়তার মেয়াদ শেষ হলেও এখনও পুরো অর্থ শোধ করতে পারেনি তারা।

গত ২৬ ডিসেম্বর সোনালী ব্যাংকের ৮৫১তম পর্ষদ সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ১০ দশমিক ৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ নেয় ইসলামী ব্যাংক। ‘কল অ্যান্ড শর্ট নোটিশ ডিপোজিট’ নামের তারল্য সহায়তার আওতায় এ অর্থ অনুমোদন দেয়া হয়। পরের দিনই সেটা বুঝে পায় তারা।

ওই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ছিল ১৪ দিন। কিন্তু এখনও পুরো অর্থ শোধ করতে পারেনি ইসলামী ব্যাংক। ইতোমধ্যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা বলছেন, এ অর্থের মধ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ঋণ সীমার বাইরে ৬২১ কোটি টাকা সরবরাহ করেছে সোনালী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সুদ নিতে কিংবা দিতে পারে না। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দুই ব্যাংকের অর্থ লেনদেন সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। বিষয়টি জেনে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

সভার কার্যবিবরণীতে সোনালী ব্যাংক জানায়, ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং এবং টলারেবল ক্লাসিফায়েড লোন রেটিং সন্তোষজনক ছিল। ব্যাংকটির সার্বিক আর্থিক অবস্থা নিয়েও অসন্তোষের কিছু ছিল না। তাই কাউন্টারপার্টি ক্রেডিট লিমিটের (আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনে ব্যাংকের ঋণ সীমা) বাইরে গিয়ে এ ঋণ দেয়া হয়। সোনালী ব্যাংক আরও জানায়, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি সাময়িক তারল্য সংকটে রয়েছে। সেজন্য তাদের তারল্য সহায়তা দেয়া হয়। দেশের সার্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বার্থেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়।

দেশের ৬১টি তফসিলি ঋণদাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত পায় ও ঋণ দেয় ইসলামী ব্যাংক। অথচ সেটিই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতিতে রয়েছে। বিভিন্ন ক্লিয়ারিং পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চলতি অ্যাকাউন্ট বজায় রাখতে হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। শুধু তাই নয়, সেই অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে থাকা চলতি হিসাবে ৩৬৪৭ কোটি টাকার ঘাটতি আছে ইসলামী ব্যাংকের।

শেয়ার করুন