দীর্ঘ বছর ধরে বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা হালিশহর এলাকায় তীব্র যানজট ও সড়কের অব্যবস্থাপনা কারণে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ নরক যন্ত্রণায় ভুগছেন।
সংকট নিরসনে জনদুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে যানজট মুক্ত বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকার সর্বস্তরের গণমানুষ।
পতেঙ্গা ইপিজেডের হাজার হাজার শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, অধ্যক্ষ এবং সামাজিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ,অভিভাবক,পেশাজীবী, চালক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
সমাজসেবক ব্যবসায়ী মোঃ আমিন সওদাগরের সভাপতিত্বে ও ব্যাংকার লায়ন মোঃ নিজাম উদ্দিন মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বন্দর সিটিজেন ফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সংগঠক হাজী হানিফ সওদাগর, ডাক্তার নুরুল আলম, পূর্বধারা পত্রিকা প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব লায়ন শাহাজান শরীফ,সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ইপিজেড সিটিজেন ফোরাম সভাপতি মোঃ রোকনউদ্দিন মাহমুদ খলিল, সমাজসেবক মোঃ তাজ উদ্দীন, সংগঠক মোঃ ফয়সাল, তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম রেজভী, হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আবুল মনসুর,বেগম জান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দিন, জামিয়া রাজভিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মাওলানা বেলাল উদ্দিন আল কাদেরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, মোঃ সেলিম,হাজী জাহিদুল আলম, মোঃ আজম উদ্দিন, ইউসুফ রেজা মিন্টু,সাংবাদিক মোহাম্মদ হোসেন,জহির উদ্দিন, নারীনেত্রী শাহেদা খানম মালা,এডভোকেট আবু হানিফ,ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুজিব, হাজী মোঃ মুজিবুল হক বকুল প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বন্দরের কারণে,এই অঞ্চলের গুরুত্ব বহু গুণে বেশি কিন্তু সড়ক ব্যবস্থাপনা রয়েছে চরম সমন্বয়হীনতা। সড়কের পাশে অবৈধভাবে ট্রাক, ট্রলি, কভারভ্যান, কন্টেইনার পণ্যবাহী গাড়ি পার্কিং করে রাখার ফলে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয় যার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকেই। এত করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও জরুরী সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বিশৃঙ্খলা গাড়ি চলাচল সড়কে যত্রতত্র অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কিং, ফুটপাত দখল করে হকারের রাজত্ব,পরিকল্পনাহীন মোড়, সিগন্যাল বিহীন গাড়ি চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত লম্বা যানজট লেগেই থাকে,কোন কোন সময়ে এই যানজট বন্দর থেকে পতেঙ্গা কর্ণফুলী টানেল পর্যন্ত হয়। এই দুরবিসহ অবস্থার কারণে বন্দর সংশ্লিষ্ট আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার অদক্ষ হেলপারের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা, রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। ফুটপাত দখল করে হকারের রাজত্ব, সরকারের উন্নয়ন সংস্থা গুলোর সমন্বয়হীনতার অন্যতম কারণ যানজট সৃষ্টি।
যানজট যুক্ত স্থানে বিকল্প ফুট ওভারব্রিজ স্থাপন,এবং সিমেন্ট ক্রসিং মোড় থেকে বন্দর হালিশহর কাস্টম দিয়ে বিকল্প সড়কটি এবং সল্টগোলা রেলক্রসিং থেকে নিউমুরিং – নেভাল হয়ে বিমান বন্দর সড়কটি পূর্ণরায় খুলে দিলে এবং ফুটপাত ও মূল সড়কের অংশ অনৈতিক দখল ভাসমান দোকান বাজার উচ্ছেদ করে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা চালুর দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান, চসিক মেয়র,পুলিশ কমিশনার, বন্দর চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দৃশ্যমান পদত্যাগ গ্রহণ করার জোর দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ ।












