শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই জুলাই বিপ্লবের চেতনার মূল লক্ষ্য”;আব্দুল্লাহ আল ফারুক

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

“২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব দেশের মানুষকে একটি নতুন সম্ভাবনার দরজায় দাঁড় করিয়েছে। এই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি শান্তিময় ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চায়”—কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর এবং কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মূল সমস্যা সম্পদের নয়, বরং নেতৃত্বের। জনগণ আজ ৫ আগস্টের পর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে, গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ পাচ্ছে। এই পরিবর্তনের জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন—শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরাম সহ সকল শহীদদের আমরা জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে বদ্ধপরিকর। যাঁরা আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও সহানুভূতি থাকবে চিরকাল। এক ঝাঁক সাহসী ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আত্মত্যাগের ফলেই এই নতুন বাংলাদেশ বাস্তবায়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে, যা আমরা কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না।

পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ১ আগস্ট “জুলাই গণঅভ্যুত্থান”-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল গণমিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় ‘পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা’ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার’ এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়। হাজারো নেতাকর্মী ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে গোটা পেকুয়া শহর ছিল জনসমুদ্রে পরিণত।

বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “আজ দেশের প্রতিটি প্রান্তে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। চোখ রাঙানি ও হুমকির রাজনীতি দিয়ে আমাদের থামানো যাবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে যখন অগ্রসর হচ্ছি, তখন ফ্যাসিবাদ আবারও নতুন মোড়কে ফিরে আসার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ‘লাল জুলাই’ আমাদের শিখিয়েছে—ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।”

পেকুয়ার জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের পেকুয়া-চকরিয়া নদী, সাগর ও পাহাড়ঘেরা সম্ভাবনার জনপদ। এই অঞ্চলকে নিরাপদ, কর্মসংস্থানসমৃদ্ধ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত জনপদে রূপান্তর করতে চাই। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে কেউ বেকার থাকবে না, কেউ নিপীড়িত হবে না, সবাই নিরাপদে বসবাস করবে।” তিনি বলেন, “গত ৫৩ বছরে যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছেন, কিন্তু জনগণের ভাগ্য বদলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই ব্যর্থ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে আমরা ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর সম্ভাবনার পেকুয়া-চকরিয়া গড়তে চাই।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দীন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি ডাঃ নুরুল কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডাঃ জেএম শাহাবুদ্দিন, বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি দিদারুল ইসলাম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন