রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীতে আঁখি হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি মেধাবী ছাত্রী গৃহবধূ মাহমুদা খানম আঁখি হত্যার প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টায় বাঁশখালী উপজেলা প্রধান সড়কে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ভিকটিমের শোকার্ত পরিবার, সহপাঠী, শিক্ষার্থী শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতা, দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের বিক্ষুব্ধ জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপজেলা কমপ্লেক্স গেইটের  দুই পাশে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত আখির মামা আশরাাফ আলী, যুবলীগ নেতা মনসুর আলী, আব্দুল আজিজ, আব্দুল ওয়াদুদ লেদু, কাউন্সিলর রাজিয়া়া সুলতানা রোজী, কায়েস সারোয়ার সুমন, হামিদ হোসেন, বেলাল , আব্দুল আওয়াল টিপু, শাহেদুুল ইসলাম, কাজী শাহাবুদ্দিন, রাজিব ,কায়সার, মিনহাজ উদ্দিন রুবেল, ফখরুল ইসলাম রবিন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোঃ রবিন, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য বিভিন্ন প্রলোভনে ঘাতক আইনজীবী স্বামী আনিসুল ইসলাম মাহমুদা খানম আখিকে  যৌতুকের জন্যর নির্যাতন করতে থাকে। সর্বশেষ ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে ,টাকা না পেয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে আঁখিকে। এক পর্যায়ে পায়ের বুট জুতা দিয়ে পেটে লাথি মারে। এরপর তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ও কেড়ে নিয়ে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা না দিয়ে বাসায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আঁখির পেটের নাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার কথা বলেন। তারা দ্রুত অপারেশন করার জন্য বললেও ঘাতক স্বামী টাকার অভাব দেখিয়ে তাকে অপারেশনের ব্যবস্থা করেননি। তখন আঁখির জীবনপ্রদীপ নিভু নিভু। আঁখির প্রবাসী বাবা মুফিজুর রহমানের মাধ্যমে আঁখির মা ও ভাই বিষয়টি জেনে ছুটে যান হাসপাতালে। পরে তাকে সেখান থেকে নিয়ে চমেকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে গত ১৯ ডিসেম্বর  চিকিৎসাধীন অবস্থায় আখির মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের ডাক্তারদের তথ্য সূত্রে জানা যায় লাথি মারার কারনে নাড়িতে পেটের আঘাত প্রাপ্ত হয়। গত

এদিকে মাহমুদা খানম আঁখির বড় ভাই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক)/৩০ ধারায় আইনজীবী স্বামী আনিসুল ইসলাম (৩২) তার মা ফরিদা আক্তার ও বোন হামিদা বেগমকেও আসামি করে নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা করেন।
এই ঘটনায়় নির্যাতনকারী স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মহানগর হাকিম আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম আঁখির হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ইদ্রিস মিয়া-হেলাল উদ্দিন
শেয়ার করুন