শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চমাশিহায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ব্যয়ে অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্টের উদ্বোধন

কোভিড কালীন সময়ে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর মধ্যে মা ও শিশু হাসপাতাল সর্বপ্রথম করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে এসে চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল যা চট্টগ্রামবাসী আজীবন স্মরণ রাখবে। অক্সিজেন সংকটে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নাজুক পরিস্থিতিতে রূপ ধারণ করেছিল ওই সময়ে এই হাসপাতালটি চিকিৎসা দিতে পিছপা হয়নি। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ক্যাথ ল্যাব সহ আরো নতুন নতুন চিকিৎসাসবা সংযোজন হতে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামবাসীর জন্য খুশির খবর। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর এই হাসপাতালটি চিকিৎসাসবায় বড় অবদান রাখছে। আমি আশা করব চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল হিসেবে রূপ নিবে।

৩ মার্চ ২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের সহায়তায় স্থাপিত অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লি: প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ক্যান্সার হাসপাতাল বিনির্মাণে তাঁর পারিবারিক আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশন থেকে ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের আশ্বস্ত করেন।

হাসপাতালে পরিচালনা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনষ্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ এর পরিচালক ও নিওনেটলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ওয়াজির আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের ইজাজ বিজয়, হাসপাতালের
পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মো: রেজাউল করিম আজাদ, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন পরিচলনা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ।

স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের সম্পূর্ণ অর্থায়নে চমাশিহায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলো অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট।

হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খান বলেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের এমন মহতী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। সবার সহযোগিতা পেলে হাসপাতালটি বহুগুণে সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবে বলে আশা করেন।

অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন জনগণের অর্থে পরিচালিত হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।সমাজের বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগিতা পেলেই হাসপাতালটি বিশ্বমানের একটি মডেল হাসপাতাল হিসেবে পরিণত হবে।

জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মিত হলে দেশ এবং দেশের বাইরের মানুষ অল্প খরচে চিকিৎসা নিতে পারবে এইজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, কান্ট্রি হেড বিটুপি দাশ চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর শামিম ইকবাল, বিজনেস প্ল্যানিং ম্যানেজার আরমান আহমেদ শাহ সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া চমাশিহার পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী, ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারী জনাব মোঃ আহসান উল্লাহ, মেম্বার ডাঃ ফজল করিম বাবুল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী অনুরুপ চৌধুরী, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডাঃ এ কে এম আশরাফুল করিম সহ বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এই অঞ্চলে মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে করোনকালীন আপনাদের ভূমিকা ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতেও ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মা ও শিশু হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এর আগে প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ নবনির্মিত অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টটি ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনকোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শেফাতুজ্জাহান।

শেয়ার করুন