উল্কা পিন্ডের ন্যায় নতুন ভাবে করোনাভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে । ধিরে ধিরে ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস । একমাত্র এই মহামারী দীর্ঘ সময় রুপ নিয়েছে সমগ্র বিশ্ব জোড়ে। এর আগে এরখম মহামারী খুব একটা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ীর হয়নি। লকডাউন আর শাটডাউনে বিপন্ন জনজীবন। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। লকডাউন এবং কঠোর লকডাউনের মতো শাটডাউনেও থাকতে পারে কঠোর থেকে কঠোরতর বিধিনিষেধ। এসময় জরুরি সেবা বাদে বাকি সব বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপর থেকে টিক কখন লকডাউন হবে তা নিয়ে ছিল বিভিন্ন গুঞ্জন অবশেষে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে সীমিত এবং বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার রাতে তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা করা হবে।
তবে লকডাউনেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা।
তারা বলেছেন, সরকারের শীর্ষ মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারা জানতে পেরেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখা যাবে। সে অনুযায়ীই তারা কারখানা খোলা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখা যাবে।