বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৩৮ নং ওয়ার্ডে” জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ-২২” ব্যানারে শোক দিবস পালন করা হবে

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন( চট্টগ্রাম ) মহানগর :

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী । জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করে থাকে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ৩৮ নং ওয়ার্ডে “জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ-২২ ব্যানারে প্রথমবারের মতো আগামী ১৪ আগস্ট বিকাল ৩ টায় স্থানীয় নিশ্চিন্তা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

পরিষদের আহবায়ক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম দিদার, সদস্য সচিব ও সাবেক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদশা, যুগ্ম সচিব ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এস এম  বরকতউল্লাহ, সদস্য সচিব ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছগির আহমদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় শোক দিবস ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে উপস্থিত থাকবেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ: কামরুল  হোসেন ও ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে সকলেই উপস্থিত থাকার মধ্যে দিয়ে শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করার আহ্বান জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

আরও পড়ুন  পতেঙ্গায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা আজকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

মূলত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু করে। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারী ইতিহাস রচিত হতে থাকে।

সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।

শেয়ার করুন