বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চমাশিহায় সোরিয়াসিস দিবস পালিত

 

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন (চট্টগ্রাম) মহানগর ।।

২৯ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের উদ্যোগে নার্সিং অডিটরিয়ামে হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসার ডাক্তার এম এ তাহের খাঁনের সভাপতিত্বে চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আরিফা সুলতানার সঞ্চালনায় ও বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক শামসুন্নাহার বিনতে মান্নানের তত্ত্বাবধানে World Psoriasis Day উপলক্ষে জনসচেতনতা লক্ষ্যের সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ওমেন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাক্তার মোনাল মাহবুব,হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোরশেদ হোসেন ও জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ রেজাউল করিম আজাদ।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে সোরিয়াসিস একধরনের অসংক্রামক চর্মরোগ। কিছু উপসর্গ দেখা দিলে আশঙ্কা করতে হবে, আপনার সোরিয়াসিস নামের রোগটি হয়ে থাকতে পারে। যার শুরু হয় হাত বা পায়ের বাইরের দিকের ত্বক, কনুই, হাঁটু, হাঁটুর নিচের অংশ বা কখনো শরীরের পেছনে নিচের দিকে লাল লাল দানা বা ফুসকুড়ির মতো উঠতে দেখে। এসব ফুসকুড়ি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, কিছুদিন পর আবার বড় হওয়া ফুসকুড়ির উপরিভাগে সাদা মাছের আঁশের মতো আস্তরণ পড়তে থাকে।

বাংলাদেশের মানুষ এই রোগ সম্পর্কে মোটে সচেতন নয়, তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে এই রোগ প্রতিকারের বিষয়ে কাজ করার উদ্যোক্ত আহ্বান জানান ডাক্তার মোনাল মাহবুব।

হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মোর্শেদ হোসেন বলেন ১৯৭৯ সালে একটি রুম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট প্রতিষ্ঠান টি ৪৩ বছরে এসে সরকারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর বেসরকারিভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। জনগণের অর্থে পরিচালিত মা ও শিশু হাসপাতাল বর্তমানে মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট ,নার্সিং কলেজ, ক্যান্সার ইনস্টিটিউট,অটিজম সেন্টার, বৃদ্ধা নিবাস সহ বহুবিধ সেবার প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৮৫০ বেটের হাসপাতালের উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি আউটডোর থেকে প্রতিদিন ২২- ২৩ শ রোগী সেবা গ্রহণ করছে। চলমান কার্যক্রম গুলো দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

অন্যদিকে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়নে নগরীর ৮০ লক্ষ মানুষের কাছে মানবিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ বলেন, নগরবাসীর স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ফান্ডে ২০-২২ কোটি টাকা রয়েছে যা দিয়ে ক্যান্সার হাসপাতাল করা বড়ই কঠিন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর নগরীর সচেতন নাগরিক জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহায়তায় যদি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করা হয় তবে আগামী বছরের জুন মাসেই পুরোদমে ক্যান্সার হাসপাতালটি চালু করতে পারবেন বলে আশাবাদব্যক্ত করেন।

শিশু হাসপাতালের মতো বহুমুখী একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে আজীবন সম্পৃক্ত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন এটিএম পিয়ারুল ইসলাম ।
হাসপাতালের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভুঁইশী প্রশংসা করে বলেন নেতৃত্ব নয় যারা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন তাঁদের পাশে থাকতে চাই। জেলা পরিষদের সেবার পরিষর এবং বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণপূর্বক সন্তোষ প্রকাশ করে নিজেও হাসপাতালে আজীবন সদস্য পদ গ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি(ডোনার)
মোঃ আজিজ নাজিমউদ্দিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, মোহাম্মদ সাগির, কার্যনির্বাহী সদস্য এ এস এম জাফর,মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম মোস্তাক আহমেদ ,হাসপাতাল পরিচালক প্রশাসন ডাক্তার মোহাম্মদ নুরুল হক ,মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর অনুপম বড়ুয়া , কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর জালাল উদ্দিন ,প্রফেসর তাহেরা বেগম, প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন সাগর,সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকাত উল্লাহ উপপরিচালক প্রশাসন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন,উপপরিচালক মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স ডাক্তার এ কে এম আশরাফুল করিম, নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ঝিনু রানী দাস,মেট্রন রঞ্জু কনা পাল সহ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ,সহযোগী অধ্যাপক,সহকারী অধ্যাপক ,শিক্ষক,নার্স ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন,অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন চর্ম যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কোহিনুর আক্তার বকুল।

 

শেয়ার করুন