মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর।
বীর মুক্তিযোদ্ধ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ
চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,মোছলেম উদ্দিন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন । (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার ৪৭ মি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা জান।
মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে আওয়ামীলীগ পরিবার সহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনতার মাঝে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মরহুমের রুহে মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
citynewstv24.com চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম আজাদ, তাহমিনা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্তাপনা পরিচালক মোরশেদুল আলম চৌধুরী তাজু ,citynewstv24.com ভাইস-চেয়ারম্যান ও Four Jewell Stevedoring Syndicate ltd ডিরেক্টর আলহাজ্ব লায়ন মোহাম্মদ শাহজাহান শরীফ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত বাঁশখালীর আসনের সদস্য অধ্যাপক নুরুল মোস্তাফা সিকদার সংগ্রাম, ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য হাজী জিয়াউল হক সুমন, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হাসান, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিম ও চট্টগ্রাম কেসিদে ইনস্টিটিউটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট নুরুল মোহাম্মদ কাদের প্রমুখ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।
আওয়ামী লীগে তার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোছলেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত মোছলেম উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মোছলেম উদ্দিন ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকায় প্রথম জানাজা
এদিকে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মোছলেম উদ্দিন আহমদের প্রথম জানাজা সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মোছলেম উদ্দিন আহমদের প্রথম জানাজা সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
ঢাকার জানাজা শেষে মোছলেম উদ্দিনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে বাদ আছর বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা শেষে হযরত গরিবউল্লাহ শাহ মাজারে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে ।
গত দুই বছর ধরে তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন ৪ মেয়ে।
