বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোটের মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক নিউজ :

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এই ভোটের আট দিন আগে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। মোট ১৩ দিন তারা ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ।  ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটকেন্দ্র প্রতি ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী। ভোটের আগে-পরের ১৩ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আনসার-ভিডিপিসহ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যরা ভোটের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট ৫ দিন নিয়োজিত থাকবে।

পরিপত্রে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা-মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫-১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য ভোটের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনা মোতায়েনে ইসির আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন। ওই বৈঠকের পরদিনই ইসি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে

শেয়ার করুন