শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

বাঁশখালী যুবলীগের আহবায়ক হয়েছেন  অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন (চট্টগ্রাম) মহানগর।। 

বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বর্তমান চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের বাঁশখালী সদস্য দলের দুঃসময়ে হাল ধরা তৃণমূল পর্যায়ে ত্যাগী নেতা অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম।
রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জুহুরের যৌথ স্বাক্ষরে অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামকে আহবায়ক করে মোট ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ  ।
জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,বাঁশখালীতে যুবলীগের কোন কমিটি না থাকায় আন্দোলন সংগ্রামে  যুবলীগকে একত্রিত করে মিছিল মিটিং সমাবেশ করতে সাংগঠনিকভাবে সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনায় দলের নীতি নির্ধারকদের  সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার  সংগ্রামকে আহ্বায়ক করে বাঁশখালী যুবলীগের একটি নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে । অতীতের তুলনায় ভবিষ্যতে এই কমিটি ভালো কাজ করবেন বলে তার প্রত্যাশা
অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার রাজনীতিকর্ম পরিধি সকলের জানা আছে ছাত্র রাজনীতি থেকে বেডে ওটা একজন ত্যাগী দূরদর্শী সম্পন্ন রাজনীতিবিদ।
বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর হঠাৎ হৃদ যন্ত্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যুতে হবার পর পদটি খালি হলে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
উক্ত পদে বাঁশখালী পৌর পৌরসভার মেয়র তোফায়েল বিন হোসাইন , খানখানাবাদ ইউনিয়নের সাবেক  চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী ও পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক হামিদুল্লাহ হামিদ সহ বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত মুখ সাবেক পরিশ্রমী মেধাবী ছাত্রনেতা অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম হয়েছেন বাঁশখালী যুবলীগের  আহ্বায়ক।

নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তিনি আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ের পরীক্ষিত কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা,

পারিবারিকভাবে আওয়ামী সমর্থক পরিবারে জন্ম নেওয়া নুরুল মোস্তফার সিকদার সংগ্রাম ১৯৮৮ইং সালে বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি  ছাত্রলীগের রাজনীতির আঁতূরঘর খ্যাত সরকারি সিটি কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে ১৯৯৪  সালের ২৬ই জুলাই সাবেক জামাতের আমীর গোলাম আযমের লালদীঘি মাঠের সমাবেশের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের সর্বাত্মক প্রতিরোধ আন্দোলন হতে গ্রেপ্তার হয়ে তিন মাসেরও অধিক সময় কারা অন্তরীণ ছিলেন। পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে অধ্যায়নকালীন সময়ে ওই কলেজে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও  বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের (ফিরোজ-শাহাদাত ফারুক) আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য ছিলেন।
নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম কে বাঁশখালী যুবলীগের আহবায়ক করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সহ তার ভাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের আমেজ বিরাজ করছে। দলের বিভিন্ন স্তরের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ইতিবাচক সাড়ার গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।অনেকে লিখছেন দলের দুঃসময়ে থাকা একজন ত্যাগী নেতাকে সঠিক সময়ে মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়ে ঘুনে ধরা বাঁশখালী যুবলীগের কর্মকাণ্ড আরো শতগুণ বৃদ্ধি পাবে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেরিফাইড ফেসবুকে স্পষ্টতায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অনেকেই  তাকে।
নুরুল মোস্তফা সিকদার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোংরা রাজনীতি করতে শিখিনি সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কারো কাছে মাথা নত করে না। জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছরের সরকার আমলে দেশের যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত করেছেন  আজ বিশ্বের মধ্যে তা বিরল। সরকারের উন্নয়ন গতিকে ত্বরান্বিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে  তা সঠিকভাবে পালন করতে চেষ্টা করব। তবে অতীতের চেয়ে বর্তমান যুবলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী।
নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন যুগ্ন আহ্বায়ক শাহাদাত রশিদ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন চৌধুরী খোকন,  আরিফ মঈনুদ্দিন ও মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন চৌধুরী । সদস্য আতাউর রহমান কাদের চৌধুরী, মোঃ শাহাদাত হোসেন, খোরশেদ আলম পাশা, আব্দুল ওদুদ লেবু, জাহিদুল আলম মিজান, মোঃ জামাল উদ্দিন, মো মনসুর আলম, আব্দুল জব্বার, মো মজিবুল আলম মুজিব, মিশুক কান্তি দে মিশু, মো বেলাল সিকদার, মাহমুদুল ইসলাম বদি,মোহাম্মদ ওসমান গনি,  মোহাম্মদ এরশাদ, বখতিয়ার  হোসাইন, আইনুল ইসলাম ইফতেখার, মো গিয়াস উদ্দিন, আজমিরুল ইসলাম চৌধুরী, সাদ্দাম হোসাইন , মো : মহসিন সিরাজ, মো :রায়হানুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান বাবুল, জহির উদদীন বাবর, সনেট দাস ও মোহাম্মদ নোমান।
শেয়ার করুন