মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর।।
নগরের নিউমার্কেট মোড় থেকে ফলমন্ডিতে হকারদের পুনর্দখল ঠেকাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভিযান চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অভিযানে ব্যবহৃত চসিকের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। আহত হন চসিক কর্মী ও পুলিশ সদস্য।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে থেমে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করে হকাররা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের চৈতী সর্ববিদ্যা, শাহরিন ফেরদৌসী, আরাফাত রহমান সানি।চসিক মেয়রের পিএস মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, চসিকের অভিযানে হকাররা বাধা দিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০-১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।চসিকের চার-পাঁচটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সিএমপির এডিশনাল কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় হকার নীতিমালা পরিষদের আহ্বায়ক নূরুল আলম লেদু বলেন, হকাররা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চিপায়, কোণে বসেছিল। চসিকের লোকজন হকারদের মারছিল। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছে কয়েকজনকে। কারাদণ্ডও দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলাম। তখন ওৎপেতে থাকা বহিরাগতরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল মেরেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের আক্রমণে বিচ্ছিন্নভাবে হকাররা যেদিক পেরেছে প্রাণভয়ে পালিয়ে গেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হকাররা পেটের ভাত জোটাতে পারছে না, যুদ্ধ করবে কীভাবে। এ ঘটনায় মামলা সাজানো হবে এবং আমাদের গ্রেপ্তার করা হবে এমন আশঙ্কা করছি।
জাতীয় হকার নীতিমালা পরিষদের সদস্য সচিব মিরন হোসেন মিলন বলেন বর্তমান চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনকালীন সময়ে হকারদের সমাবেশে বলেছিলেন হকারদের কে পূর্ণবাসন না করে উচ্ছেদ করবেন না কিন্তু দেখছি বিনা নোটিশে হকারদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আসন্ন রমজানকে ঘিরে প্রায় ৫ হাজার হকার বেকারত্ব হয়ে মারবে তোর জীবন যাপন করছেন। আমাদের দাবিদাবাগুলো মেয়র মহোদয় কে জানান দিতে প্রতিবাদ সভা ও ভিক্ষোভ মিছিল করে আসছিল হকাররা।