রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীর বাহারছড়ায় উপ নির্বাচন পরবর্তী হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
বাঁশখালীর বাহারছড়ায় উপ নির্বাচন পরবর্তী প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১০ মার্চ) সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর রমজান আলী চৌধুরী বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাহারছড়া পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জালাল উদ্দীন চৌধুরী অভিযোগ করেন, তিনি একটি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। এজন্য প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। তার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী ফরহানা সুলতানা ও তার শিশু সন্তানকেও মারধর করা হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে মানবজমিনকে জানান।
জানা গেছে, গত শনিবার বাঁশখালীর বাহারছড়ায় চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস বিজয় লাভ করেন। এদিকে রবিবার সকালে অর্ধ শতাধিক লোকজন পরাজিত প্রার্থীর এজেন্ট ও তার পক্ষে কাজ করা লোকজনের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন তাদের সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনায় আহত হয় ফরজানা সুলতানা, তার শিশু সন্তান ফায়রাজ আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন। ছমুদুল হক চৌধুরী, খলিল আহমদ চৌধুরী ও আবুল মনসুরের বাড়িসহ ৭-৮ টি বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। দরজা জানালা ভাংচুর করা হয়েছে। উশৃংখল লোকজন হামিদুল হক নামে এক ব্যক্তির তালাবদ্ধ ভবনেও হামলা করেছে বলে জানা গেছে। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুসের সমর্থক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, আসলে সেই ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। কিছু ছেলেরা ঘরের দরজায় লাথি মেরেছে শুনে আমি গিয়ে তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছি। জালাল নামের লোকটা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের বি়ভ্রান্ত করছে। বর্তমানে বাহারছড়া শান্তি ও নিরাপদ এলাকা হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংশিত হচ্ছে। সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ায় লোকজন প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, বাহারছড়ায় নির্বাচন পরবর্তী কোন সংঘাতের খবর পাইনি। সবকিছু স্বাভাবিক ও প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন  জ্যেষ্ঠতা তোয়াক্কা না করে চসিকে পদোন্নতি ধূম্রজাল!
শেয়ার করুন