সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীর সেই বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মজিবুল হক বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

 

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।।

বাঁশখালীর চাম্বল ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধেপ্রায় ৩ কোটি টাকা সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবু তাহের বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউপি সচিব ফায়সাল আবেদীন ও সৌরভ নাথ নামে আরো ২ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী আবু তাহের চাম্বল ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের নন্না মিয়ার ছেলে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,বাদীর অজান্তে তার নাম ব্যবহার করে এয়ারটেল কোম্পানীর 01615-110589 নাম্বরের মোবাইলের সিম সংগ্রহ করে। ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের জন্য সরকারের জনকল্যানমূলক কর্মসূচী ‘কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) বরাদ্দকৃত টাকা বাদীর অগোছরে দস্তখত জাল করে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, সচিব ফয়সাল আবেদীন ও সহযোগী সৌরভ নাথসহ আসামীরা আত্মসাৎ করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার ঘটনায় বাঁশখালীতে চাঞল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, চাম্বলের বহিস্কৃত সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে শুনেছি। তবে এখনো কোন কাগজপত্র পাইনি।
ইতিপূর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি এবং অশালীন গালমন্দ করে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন মুজিবুল হক।
তিনি বলেছিলেন পিটার হাস বলেছেন— এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই পিটার হাস, আমরা খাই পাঁচ আঙুলের ভাত। আর তুই খাস ফিডার। তুই হলি বিএনপির ভগবান। আর তোরে এমন পিটুনি দেব…। বাঙালি কি ফাজিল তা তো জানোস না। তোরা বিএনপি-জামায়াতের ভগবান হতে পারবি। তবে আমাদের একটি… ছিঁড়তে পারবি না।’
তিনি বলেন, ‘ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমিই মেরে দিতাম’, গত বছরের মে মাসে নির্বাচনি প্রচার চালাতে গিয়ে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলেন মুজিবুল হক চৌধুরী।

এসব কারণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল ।

সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুজিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে। এতে আরও বলা হয়, বাঁশখালী উপজেলাধীন চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

শেয়ার করুন