চট্টগ্রাম জেলা বন্দর থানা ৩৮ নং ওয়ার্ডের মরহুম আলী মিয়া সাব রেজিষ্টার বাড়ীর
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান মরহুম আলহাজ্ব সেকান্দর হোসেন মিয়ার প্রথম পুত্র প্রফেসর ড. শামসুল হোসাইন (জং বাহাদুর) (৭৫ ) নগরীর চট্টশ্বরী রোডস্থ নাছির ভবনে ১৯ জুলাই ২১ ইং সকাল ৯.৪০ মি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজেউন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষাগত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ।
ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতিবিষয়ক সাময়িকী ও মুক্তি যুদ্ধা অনুসন্ধান ও গবেষনা ও প্রকাশ কেন্দ্রের ইতিহাসের খসড়া উপদেষ্টা সহ বহু সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বরেন্য এই শিক্ষাবিদ।
স্বনামধন্য এই গুণী শিক্ষকের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর এলাকা ও এলাকার বাইরে। বিশেষ করে মরহুমের পুরাতন বাড়ী হাজ্বী শেখ আবদুল আলী মালুম বাড়ী এবং বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ সহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মাঝে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকতার্বৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোক প্রকাশে প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রথম আলো পত্রিকার সাবেক রেসিডেন্ট সম্পাদক আবুল মোমেন বলেন
তাঁর মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে এবং আমরা হারালাম একজন পথ প্রদর্শক, জ্ঞান প্রদীপ ও ভালো মানুষকে। বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন একটি জ্ঞানের প্রদীপকে হারিয়ে আমি শোকাহত।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য ও সিটিনিউজ২৪.টিভির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌং বলেন দেশের অন্যতম বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবিস্তারে বড় অবদান রেখেছেন এই শিক্ষা গুরু। মহামারীর এই কঠিন ক্রান্তি লগ্নে তাঁর মতো একজন চৌকষ মানুষের বড় প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
শোক প্রকাশ করেছেন যথাক্রমে বন্দর থানাধীন মুক্তি যোদ্ধার সংগঠক আলহাজ্ব এজহার মিয়া (মাইক এজার), আলহাজ্ব আবু তৈয়ব, বিশিষ্ট শিপিং ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এমইউএম আবুল হোসেন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা হাজ্বী ইকবাল আলী আকবর, হাজ্বী ইকবাল হোসেন মিন্টু, আলী হোসেন বাদল, আলহাজ্ব আবদুল কুদ্দস সেন্টু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হাজ্বী মোঃ শওকত আকবর, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ, বন্দর থানা বিএনপি নেতা এমডি মহসিন মুরাদ সহ আরোও অনেকে ।
অন্যান্যদের মাঝে শোক প্রকাশ করেন হাজ্বী বেলাল উদ্দিন (আক্কাস), মোঃ ফোরকান, হাজ্বী শাহজান সিরাজ,হাজ্বী হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম বখতিয়ার উদ্দিন,বন্দর থানা বিএনপি নেতা শহিদুলাম বাপ্পী। মোঃ এরশাদ আলী আকবর, মোঃ পারভেজ, মোঃ আজগর আলী আকবর, মোঃ আবু নঈম, মোঃ ইমতিয়াজ, আমির মোঃ সুমন, আবদুল মুবিন সম্রাট, যুবলীগ নেতা এম এ হান্নান রোবেল, মোঃ সেলিম, হাজ্বী কামাল উদ্দিন, নাজমুল হুদা সুমন, মেহেরাজুল আলম সুজন, আমীর মোঃ তুগরীল মামুন,মোঃ ইয়াসির আরাফাত, মোঃ ফারুক, ও মোঃ মামুন প্রমুখ।
ব্যক্তিগত জিবনে সদাহাস্যোজ্জল মিষ্টিবাসী বিনয়ী, নিরাহংকারী ও সদালিপি ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ বর্তমানে খুঁজে পাওয়া বড় দুষ্কর বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাবিস্তারে নিরলস কাজ করেছেন তার সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধের জন্য তিনি সকলের নিকট ছিলেন পরম শ্রদ্ধাভাজন।
মৃত্যকালে ৩ পুত্র, নাতি নাতনী, স্ত্রী আত্মীয় সজন সহ বহুগুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাদে আসর শেখ হাজী আবদুল আলী মালুম জামে মসজিদ চত্ত্বরে মরহুমের নামাযে জানাযা শেষে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে দাফন করা হয়।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৮৯