শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি থেকে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসার বিরুদ্ধে। এ প্রকল্পের আউটসোসিং নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৯ জন কর্মচারীর বেতন ও সম্মানি থেকে এই অর্থ থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৯ জন কর্মচারীর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রকল্পের সহকারী প্রেগ্রামার প্রদীপ নাথ। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৬০১টি স্ক্রিনিং কেন্দ্র স্থাপন এবং ৫০ লাখের অধিক মহিলাকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সবশেষ তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ মেয়াদের নো-কস্ট এক্সটেনশনের মাধ্যমে পুনরায় মেয়াদ বর্ধন করে প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই প্রকল্পে মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ এর জুন মাসে। পরে নতুন করে মেয়াদ বাড়লেও আউটসোসিং লোকবল দেওয়া কোম্পানি স্কিল ম্যানপাওয়ার লিমিডেটের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি। এমনকি কোম্পানির পক্ষ থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি কর্মচারীদের জানানো হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের দেওয়া কিছু কাগজে উল্লেখ করা হয়, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার ও হাসপাতাল পরিচালকরের সাথে দেখা করতে গেলে বিএসএমএমইউর হাসপাতাল পরিচালক জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মকারীদের জুন, ২০২৪ থেকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেখানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

সারাদেশের সরকারি নার্স ও চিকিৎসকরা মূলত এসব রোগী সেবা দিয়ে থাকেন। আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রাপ্তরা ট্রেনিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে টেনিং দিয়ে থাকেন।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চাইলে পরে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। নিয়োগে সম্মানি দেওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে কি না এমন প্রশ্নে তারা জানান, তাদের কাছে নিয়োগপত্র নেই।

আরও পড়ুন  একদিনেই করোনার দাপটে আক্রান্ত ৮৪০৭ জন

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রকল্পটি মূলত ২০১৮ থেকে পর্যায়ক্রমে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে এর মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আবার এক বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের  জুন পর্যন্ত। আউটসোর্সিং লোক নিয়োগের বিষয়টিও এক বছর পর পর চুক্তি হয় ফার্মের সঙ্গে। এক্ষেত্রে ফাইনেন্সের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু এবার এ চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন না। আগামী জুনে প্রকল্প শেষ করতে কোনো অসুবিধা হবে কি না, এমন প্রশ্নে ডিজি বলেছেন কোনো অসুবিধা হবে না।  মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীরা এ দায়িত্ব পালন করছেন।

শেয়ার করুন