মঙ্গলবার( ১০ আগস্ট ২১ ইং) তারিখে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের ২০২০-২০২১ (১৬ তম ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের এম.বি.বি.এস কোর্সের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগষ্টের সকল শহীদের স্মরণে সভায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও চমশিহা মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: ইসমাইল খান। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: অসীম কুমার বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও কলেজ গভর্নিং বডির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন এর ডিন অধ্যাপক ডা: সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারা-ক্লিনিক্যাল সাইন্স এর ডিন অধ্যাপক ডা: মো: হাফিজুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও কলেজ গভর্নিং বডির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এম এ তাহের খান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা: এম মাহফুজুর রহমান, জেনারেল সেক্রেটারী ডা: আঞ্জুমান-আরা-ইসলাম, ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ, অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী আরও বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের পক্ষে ডা: মোঃ শফিউল হাসান ও মিসেস দিলরুবা আক্তার চৌধুরী এবং ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আতিফা ইকবাল। শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: সাহেদা খানম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ডোনার মেম্বার, নার্সিং ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডি ও মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইঞ্জি: মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী, হাসপাতাল উপ পরিচালক প্রশাসন যথাক্রমে মো: মোশারফ হোসেন এবং ডা: আশরাফুল করিম।
উক্ত অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে উপস্থাপনা করেন মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগ এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক যথাক্রমে ডা: নাফিজ ইমতিয়াজ আহমেদ ও ডা: তাসনুভা নুজহাত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের পরিচালক প্রশাসন ডা: মো: নূরুল হক। একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ও সভাপতির বক্তবে্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা অসীম কুমার বড়ুয়া মেডিকেল কলেজের ইতিহাস, অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা, ছাত্র/ছাত্রীদের পেশাগত পরীক্ষার ফলাফল, শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পরিচিতি এবং ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এম.বি.বি.এস কোর্সের কারিকুলাম-২০১২ এর উপর সংক্ষিপ্তভাবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে বক্তব্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, “চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল” সেবা খাতে বেসরকারি ভাবে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে। পর্যায়ক্রমে তিলে তিলে গড়ে উঠা জনহিতকর এই প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসা শিক্ষা এবং দক্ষ নার্স তৈরীর ক্ষেত্রে এতদঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিক। দেশে বিদেশে অত্র মেডিকেল কলেজের নাম ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। সফলতার পনের বছর অতিক্রান্ত করছে-এই কলেজ। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য যাঁরা নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়। বক্তারা আরও বলেন মেডিকেল শিক্ষা একটি কঠিন বিষয়। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে মেডিকেল শিক্ষার সময় অতিবাহিত করতে হয়। সাফল্যের স্বীকৃতিতে অভিষিক্ত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ। শিক্ষকদের আস্থায়, দক্ষতায় ও বন্ধনের আলোকযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে এই মেডিকেল কলেজ।
বক্তারা নতুন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মপ্রিয়, নীতিজ্ঞান সম্পন্ন আদর্শ চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি মানব সেবায় আরও নিবেদিত হওয়ার আহবান করেন। চিকিৎসা শিক্ষা অর্জন করে চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে-এই মনোভাবে অটল থাকতে হবে। অভিভাবকদের একটু সচেতন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকতা থাকলে মেডিকেল শিক্ষা অর্জন সহজতর হয় বলে বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন। শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাকদের সমন্বয় ও আন্তরিকতায় মেডিকেল শিক্ষার ক্যারিয়ার উন্নত হয় বলে সভায় আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের প্রি-ক্লিনিক্যাল বিভাগ সমূহের অধ্যাপকবৃন্দ, প্যারা-ক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল বিভাগ সমূহের পেইজ কো-অর্ডিনেটরবৃন্দ সহ ক্লিনিক্যাল বিভাগ সমূহের সর্বস্তরের অধ্যাপকবৃন্দ।