ভারতের যুদ্ধবিমানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে গভীর রাতে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, কোটলি ও মুজাফফরাবাদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই হামলা ভারতের আকাশসীমা থেকে চালানো হয়েছে এবং তা ছিল ‘কাপুরুষোচিত ও উসকানিমূলক’। খবর ডন
আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ এ হামলা চালিয়েছে ভারত।
শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘তারা একটিবারের জন্যও আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। হামলা চালিয়েছে বাইরে থেকেই। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি এবং এর জবাব আমরা দেব, আমাদের পছন্দ অনুযায়ী সময় ও স্থানে।’
প্রথমিকভাবে জানানো হয়, বাহাওয়ালপুরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন এক নারী ও এক পুরুষ। হামলার টার্গেট ছিল একটি মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘তারা কাপুরুষের মতো নিজেদের সীমা থেকেই হামলা করেছে। তারা যদি সামনে আসে, আমরা জবাব দেব দ্বিগুণ শক্তিতে।’ পাকিস্তান ইতোমধ্যেই প্রতিক্রিয়া শুরু করেছে বলে নিরাপত্তা সূত্রে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভি।
হামলার দায় স্বীকার করে ভারত জানায়, তারা ‘অপারেশন সিনদূর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ভারতের দাবি, তারা শুধু ‘নির্দিষ্ট অবকাঠামো’ লক্ষ্য করেছে এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এ ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে অভিযোগ তোলে। পাকিস্তান তা নাকচ করে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়।
পাকিস্তান এ ইস্যু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে জানায়, ‘আমরা দুই দেশের সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে আছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত নদীগুলোর পানি আটকে দেওয়া হবে। পাকিস্তান এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সামিল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।