শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেনের নতুন সূচি প্রকাশ, স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি সামান্য পরিবর্তন করেছে রেলওয়ে। যাত্রী চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পূর্ব রেলের এসিওপিএস মো. আবু বক্কর সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১০ আগস্ট থেকে সৈকত এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে, যা আগে ছিল সকাল ৬টা ১৫ মিনিট। আর প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে।

২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল এই রুটে বিশেষ ট্রেন চালু হয়, তবে ইঞ্জিন ও কোচ সংকটে দুই মাসের মধ্যেই ৩০ মে তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবির মুখে ওই বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন দুটি এবং চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত চলাচল করছে।

বর্তমানে সৈকত এক্সপ্রেস ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামে। প্রবাল এক্সপ্রেস থামে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

ট্রেন বাতিল, স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ
সূচি পরিবর্তনের পাশাপাশি শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দেরি হয় এবং বিকাল ৫টার পর এসে পৌঁছে। সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত যাত্রা বাতিল করে।

হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারের রুমের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং ভাঙচুর চালান। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বারবার সময় বদলের পরও শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল করা হয়, কিন্তু টিকিটের টাকা ফেরতের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।

রেল কর্মকর্তারা জানান, সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসে নির্ধারিত আসনের চেয়ে ৩০টি বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল অনলাইনে। বিষয়টি ট্রেন ছাড়ার আগে ধরা পড়ায় নতুন কোচ সংযোজন করতে হয়। এতে ট্রেনটি সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে সাড়ে ৭টায় ছাড়ে। এই ট্রেনটি ফেরার পথে প্রবাল এক্সপ্রেস হিসেবে চলার কথা থাকায় সময়সূচি এলোমেলো হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বিকালের যাত্রা বাতিল করতে হয়।

শেয়ার করুন