চট্টগ্রামে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সংবাদ প্রকাশ করায় জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ জাকারিয়া হোসেনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং বিকেলে সর্বপ্রথম আমার সময় পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে এবং আমার সময় মাল্টিমিডিয়া ফেসবুক পেইজে ভিডিও নিউজ আকারে এবং পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রিন্ট সংস্করণে “চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন মধ্যম হালিশহরের প্যাসিফিক হোম মিট ফুড প্রোডাক্টস নামের বেকারি কারখানায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।কিন্তু এ সংবাদের পরপরই সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হয়। তার ভিজিটিং কার্ড ও হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করে “Abdullah Omar Nashif” নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা ও বানোয়াট পোস্ট দিয়ে তাকে চাঁদা দাবির সাথে জড়িত দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকি উক্ত পোস্টের স্ক্রিনশট বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
(০১৬৪৭৮৮০১২৫ নম্বর থেকে) শেয়ার করে মৌখিকভাবে মানহানি করার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালানো হয়।
গ্রুপের সচেতন নাগরিকেরা পোস্টের সত্যতা জানতে চাইলে অসাধু মহল কোনো প্রমাণ দেখাতে না পেরে মনগড়া গল্প বানিয়ে সাংবাদিকের সম্মানহানি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যায়। যা একজন জাতীয় দৈনিকের দায়িত্বশীল সাংবাদিকের জন্য শুধু অপমানজনকই নয়, বরং অত্যন্ত অরুচিকর ও নিন্দনীয়।
এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন বলেন—“আমি সাংবাদিকতার দায়িত্ববোধ থেকে তথ্য-চিত্র সংগ্রহ করে ভেজাল ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের সংবাদ প্রকাশ করেছি। অথচ অসাধু ব্যবসায়ী চক্র তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড আড়াল করার জন্য আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন পোস্ট ছড়িয়ে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। এটি সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন আঘাত।”
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি ইতোমধ্যে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নং – ৯৩৫ করেছেন এবং প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে বিটিসিএল ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নেবেন।জাকারিয়া হোসেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—
“আমার বিরুদ্ধে যত অপপ্রচারই চালানো হোক না কেন, আমি ভেজাল ও নোংরা খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত হব না। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই-এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমার প্রতিবাদী কলম থামবে না।”
এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিককে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানহানি করার চেষ্টা গণতন্ত্র, মুক্ত গণমাধ্যম ও জনস্বার্থের প্রতি নগ্ন চ্যালেঞ্জ। তারা অবিলম্বে মিথ্যাচারকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।












