গত শুক্রবার মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম মারা গেছেন। রবিবার ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে (কোমায়) ছিলেন তিনি।
তার পরিবারের সূত্রে মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে শনিবার রাতে হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) জানিয়েছিলেন, তার (ক্যাপ্টেন নওশাদ) অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন।
পাবিবারিক সূত্রটি জানায়, চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টটি খুলে না দিলেও শেষ কথা বলে দিয়েছেন। পাইলট কাইয়ুমের দুই বোন এরই মধ্যে নাগপুরে পৌঁছে গেছেন। কাইয়ুমের স্ত্রী ও এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছেন। বড় মেয়ে পড়াশোনা করছেন কানাডায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে কাইয়ুমের লাইফ সাপোর্টটি খুলে নেওয়া হবে। এরপর তার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে।
নওশাদ কাইয়ুম যার ডাক নাম মিশু ঢাকায় একাই থাকতেন। স্ত্রী ছেলে মেয়েরা আমেরিকা ও কানাডায় থাকছেন। তার বাবাও ছিলেন একজন পাইলট। প্রথমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি এয়ারলাইন্সে ছিলেন তিনি। গত বছরই বাবাকে হারান কাইয়ুম। মা মারা গেছেন বছর ছয়েক আগে ক্যান্সারে।
শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ জন যাত্রীসহ বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম অসুস্থ বোধ করেন। পরবর্তীতে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সাথে সাথেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান।
এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।