আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ক্ষণজন্মা জননী নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসা’র ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে স্মরন সভা অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক চসিক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন ভালো কাজ করতে অর্থবিত্তের প্রয়োজন হয়না। আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থবাদী মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে।মানব সেবা করতে সুন্দর মন মানুষিকতা দরকার।ভালো কাজ করলে মৃত্যুর পরেও মানুষ স্মরন করবে,সম্মান করবে,সমীহ করবে,শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। মানুষের দ্বারা যদি মানুষের কোন কল্যাণ সাধিত না হয়ে যদি ক্ষতি হয়,তাহলে মৃতু্যর পরও তাদেঁর প্রতি মানুষ
তিরষ্কার আর ধিক্কার জানাবে। সমাজে অবহেলিত, অনাথ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্ব মানবিক জননী মাদার তেরেসা। তিনি বলেন মাদার তেরেসা সর্বদা অনাথদের পাশে থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। ১৯৪৮ সালে তাঁর নিজস্ব আবাসভূমি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েন। ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য হাত পাতেন দ্বারে দ্বারে। কুষ্ঠরোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতে মানবিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলে পড়াতে তাঁর ভালো লাগলেও কলকাতার দারিদ্র মানুষের তিনি বন্ধু হয়েছিলেন। শত শত মানবিক কাজের জন্য মাদার তেরেসা নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। এটি ছিল বিশ্ব মানবিক মানুষের বিজয়। তিনি আরো বলেন, এ করোনাকালীন সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতায় দারিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি এ কঠিন করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদে রাখার জন্য করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ব্যবস্থা করে প্রশংসিত হয়েছেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন মানবিক কাজের জন্য মাদার তেরেসা বিরল সম্মান পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতন শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের জন্য মানবিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশকে সফল নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষুধা ও নিপিড়িত মানুষের ভাগ্যন্নয়নের জন্য তিনি সর্বদা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ বলেই আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। ৫ সেপ্টেম্বর নগরীর প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপিকা রেখা আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ দিদার আশরাফীর ও কার্যকরী সভাপতি সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রণবরাজ বড়–য়া। স্মরণানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মো: খোরশেদ আলম, হাজী সাহাবউদ্দীন, হাজী সিদ্দিক আলম, হাজী ইউনুচ কোম্পানী, আলী নেওয়াজ, চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, অভিনয়শিল্পী এস এ রহিম, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দীন চৌধুরী, সুমন দেবনাথ, ইয়াসির আরাফাত, এম.এ. নেওয়াজ, ফয়সাল বাপ্পী, এস.এম হাসান উদ্দীন, মাওলানা মহিউদ্দীন আল কাদেরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, মো: ওসমান গণি, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, লায়ন ইয়াসমিন আক্তার, মো: খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী, নুর হাসান, সজল দাশ, রিমন মুহুরী, পারভীন আক্তার চৌধুরী, রোজী চৌধুরী, নাদিরা সুলতানা হেলেন, মো: তিতাস, হারুন রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মো: নাছির, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান, অধ্যক্ষ মো: দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান খান, এন.কে আলম সাজ্জাদ, ইউনুস মিয়া, শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, নারায়ণ দাশ, শিউলী আক্তার, নুপুর আক্তার, কাজী আইয়ুব প্রমুখ।
ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যারা প্রশংসিত হয়েছেন চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে মাদার তেরেসা সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী সুন্নিয়তের প্রচার-প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় সভার প্রধান অতিথি আ জ ম ও নাসির উদ্দিন এর হাত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে মাদার তেরেসা সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন মইনীয়া যুব ফোরাম ৩৭ নম্বর মুণীর নগর ওয়ার্ড এর সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৬৪