প্রতিবেদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (চট্টগ্রাম )মহানগর:
লায়ন আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম আজাদ ১৯৬৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাউজানের নদিমপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম।
নাদিমপুর গ্রামের সমাজসেবক ইউনুস মিয়ার সন্তান। অত্যন্ত সদালাপী সাদামাটা জীবন যাপন করেন তিনি। পিতার আদর্শে আদর্শিত হয়ে সেবার ব্রত নিয়ে সুদীর্ঘকালীন বিভিন্ন সংগঠনের সাথে নিজেকে মানবতার সেবায় সম্পৃক্ত রেখেছেন।
একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে তাঁর।

লায়ন আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম আজাদ রাউজানের ইউনুছ আলমাস স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি, নাদিম পুর জামে মসজিদ ও বাংলাদেশ এগ্রো কমিডিটি ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি খাতুনগঞ্জ আমির মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ পুরাতন কাপড় আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ট্রেজারার হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালনের কারণে ইতিমধ্যে সর্বজন সমাদৃত প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর এই গুরুদায়িত্ব পালনের সময়ই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট, ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার জন্য নির্মাণাধীন ভবন বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের কার্ডিওলজি ইউনিট চালুকরণ ,মেডিকেল কলেজের পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে ডেন্টাল কলেজ ও নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নির্মাণাধীন নতুন ভবনে অতি দ্রুত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত রোগীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে বহুমুখী উদ্যোগের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসাবে কাজ করছেন তিনি।
জনগণের অর্থে পরিচালিত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় একশত কোটি টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ভবন তৈরিসহ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। এরমধ্যে এই ইনস্টিটিউটের জন্য বেশকিছু অনুদান সহযোগিতা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান জাবেদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বিশেষায়িত এই হাসপাতালের জন্য আট কাঠা ভূমি প্রদান করেছেন বলে জানা যায়।
অনুমোদন মিলেছে পারমাণবিক শক্তি কমিশন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। হাসপাতালটি চালু হলে ক্যান্সার গবেষণার দুয়ারও উন্মেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন এই হাসপাতাল চালু হলে তা এই অঞ্চলের গরিব ও অসহায় রোগীদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।
একজন সফল ট্রেজারার হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ ,পরিকল্পনা তৈরি এবং নানামুখী কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়নে দক্ষতার সহিত কাজ করছেন যা স্পষ্টতায় দৃশ্যত।
মহামারী বৈশ্বিক করোনা বিপর্যয়ের সময় সারা বাংলাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও যখন চিকিৎসাসেবায় নজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ঠিক তখনই ১২ জন অকুতোভয় করোনা ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ম্যানেজমেন্ট সেল মেম্বার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম আজাদ। বর্তমান ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটি, জাবেদ শরফুদ্দিন কার্ডিয়াক ইউনিট বাস্তবায়ন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্বরত রয়েছেন । আগ্রাবাদ শামসুন্নাহার খাঁন বিএসসি নার্সিং কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ,শহর সমাজ সেবা প্রকল্প সমন্বয় পরিষদ-১ এর যুগ্ন সম্পাদকসহ লায়ন্স ক্লাব চিটাগাং পেসিডেন্সির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
আগামী ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যকরী কমিটি (২০২১- ২৪) নির্বাচনে হাসপাতালে (চমাশিহার) প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল সেক্রেটারি ও বারবার নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ডা. এ এস এম ফজলুল করিম সমর্থিত ডা: এম এ তাহের খাঁন-এসএম মোরশেদ হোসেন-মোঃ রেজাউল করিম আজাদ ও অধ্যক্ষ ড. মোঃ সানাউল্লাহ পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
এই নির্বাচনকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই নগরবাসীর। মোঃ রেজাউল করিম আজাদকে নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ভরপুর সোশ্যাল মিডিয়া প্রাঙ্গণ ,এরকম একজন মহান গুণীজন সমাজ সেবক হিসেবে পুনরায় স্বাস্থ্যসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার মননে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যকরী কমিটি নির্বাচনে জেনারেল সেক্রেটারি পদে অংশগ্রহণে মহাখুশি হাসপাতালের অধিকাংশ আজীবন সদস্যবৃন্দ, চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনসহ সাধারণ মানুষ।
উল্লেখিত পরিষদের ব্যানারে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তারা হলেন ,প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রফেসর ডা: এম এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন ( ডোনার),
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইঞ্জি: লায়ন মোঃ: জাবেদ আবছার চৌধুরী, আব্দুল মান্নান রানা, ডা: পারভেজ ইকবাল শরীফ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা: কামরুন নাহার দস্তগীর, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) পদপ্রার্থী, সৈয়দ মো: আজিজ নাজিম উদ্দিন, ট্রেজারার পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ লায়ন ড. মো সানাউল্লাহ, জয়েন্ট ট্রেজারার পদপ্রার্থী, লায়ন এসএম কুতুবউদ্দিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মোঃ সাগির, স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আহসান উল্লাহ। কার্যকরী কমিটি মেম্বার পদপ্রার্থী হিসাবে আলহাজ্ব মো: হারুন ইউসুফ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, ডা: নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ডা: আবু তৈয়ব , ডা: কামরুন নেসা রুনা, ডা: এ এস এম জাফর, মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ, ডা: ফজল করিম বাবুল, ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী (ডোনার), মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (ডোনার) প্রমুখ।

এছাড়া জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার মেম্বার থাকে) পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় এই প্যানেল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ নাজিম উদ্দিন।
এ ধরনের সমাস হিতৈষী ব্যক্তিরা মানবসেবায় দায়িত্ব পেলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে বিশ্বাস রাখেন সমাজের বিশিষ্টজনরা।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ১৫৯