শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন যেভাবে গ্রেফতার হলেন

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৫) কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চন্দন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মৃত ধারীর ছেলে। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তাকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দু’দিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। তারা আমাদেরকে জানালে আমি পুলিশ নিয়ে স্টেশনে অবস্থান নেই।

তিনি আরও বলেন, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন এবং রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাত আরও গভীর হলে ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছানোর আগেই তাকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, চন্দনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনজীবী হত্যার ভিডিওতে কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা।

 

বিক্ষোভকারীরা আদালতপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালান। হামলা করে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে। এসব ঘটনায় একটি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা করা হয়।

নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি চন্দন। এ মামলায় পুলিশ আগেই নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শেয়ার করুন