বৃহস্পতিবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে গেলেন জাহিদুল হাসান ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আসন্ন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদের জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ জাহিদুল হাসান ও বাংলাদেশ শীপ ব্রেকিং এসোসিয়েশনের সভাপতি, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক, রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। চেম্বার নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে আর কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ তার মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী এবং বিচারপতি সৈয়দ হাসান জোবায়ের এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ।
আদেশে  আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মো: জাহিদুল হাসান প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে তাদের নামে পূর্বক ব্যালট নং প্রদানের নির্দেশ প্রদান করে রুল জারি করেন।

জাহেদুল হাসান চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট কেএম সাইফুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সম্পাদক, সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আসন্ন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আসন্ন দ্বি বার্ষিক নির্বাচনে এসোসিয়েট মেম্বার ক্যাটাগরিতে জাহেদুল হাসান পরিচালক পদে ও   আমজাদ হোসেন চৌধুরী অর্ডিনারী মেম্বার ক্যাটাগরিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য নমিনেশন ফরম উত্তোলন করে নিয়মানুযায়ী জমাদান করেন।

কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং নির্বাচনী বোর্ড পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট সনদ জমা না দেওয়ার গ্রাউন্ড দেখিয়ে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করেন। পরে নির্বাচনী আপীল বোর্ডে জাহেদ হাসান এবং আমজাদ হোসেন চৌধুরী আপীল করলে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং নির্বাচনী আপীল বোর্ড আপীল না মঞ্জুর করলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত ১৪ অক্টোবর  শুনানী শেষে এই রায় প্রদান করেন।

রিট দায়েরকারী আইনজীবী কেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনী পরিচালনা বোর্ড এবং আপীল বোর্ড বিচার বিশ্লেষণ না করে আমজাদ হোসেন চৌধুরী এবং জাহেদ হোসেন চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করেছিল। আমরা মহামান্য হাইকোর্ট ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের প্রার্থীতা গ্রহণ করে ব্যালট নম্বর দেওয়া।

জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে আমার প্রার্থীতা বহাল হয়েছে। এখন নির্বাচনী কাজে সবার সহযোগিতা চাইব। সেই সাথে ভোটারদের ভোট এবং দেশবাসীর দোয়া চাইব। মহান রব যেনো আমাদেরকে কামিয়াব করেন।

শেয়ার করুন