রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় হাজির কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতারা শুরুতেই চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট সম্মেলনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের আনা বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসব অভিযোগের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
ঢাকায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের ” বৈঠক’ শেষ হল ইউনিট কমিটি গঠন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। এই সভা ঘিরে চট্টগ্রামে দফায় দফায় গোপন বৈঠক, কথার যুদ্ধ চলে আসলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকার বৈঠকটি অনেকটাই ‘সান্ত্বনার সভা’য় রূপ নেয়।
ইউনিট সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে বিরোধে জড়িয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে রাজধানীতে বসার সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটির সকলে মিলে বসে সম্মিলিতভাবে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। এ সময় ইউনিট সম্মেলন শেষে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্য থেকে ৩-৪ জন করে প্রত্যেক থানায় আলাদা করে টিম করে সম্মেলনের কাজ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এছাড়া সম্মেলনের বিষয়ে কোনো আপত্তি কিংবা অভিযোগ থাকলে সেগুলো দেখার জন্য নগর আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকে নিয়ে একটি টিম করার কথাও জানা গেছে সভায় উপস্থিত একটি সূত্রে।
সভায় নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী ও জহিরুল আলম দোভাষকে নিয়ে একটা সেল করা হয়েছে। এই সেলে আছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও। সম্মেলনের কোনো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তাদের জানাতে বলা হয়েছে। তারাই সেগুলো দেখবেন।’
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৮৭