বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নীরব ঘাতক” বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ” পালিত চমাশিহায়

অন্ধত্ব একটি অভিশাপ। গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ মিলিয়ন লোক অন্ধ।

গ্লুকোমাজনিত অন্ধ লোকের সংখ্যা প্রায় ৮ মিলিয়ন। এর এক বিরাট অংশ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে এক বিরাট জনগোষ্ঠী অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন, যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে সচেতনতার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে ১৩ মার্চ শনিবার হাসপাতালের নতুন ভবনে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা: এম এ তাহের খান এর সভাপতিত্বে বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরি লজিষ্ট্রিক্স (বিডি) লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস এসোসিয়েশনের ডাইরেক্টর ফিন্যান্স ও লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের গভর্ণরস এডভাইজার জনাব আলমগীর হোসাইন পিলু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের গভর্ণরস সিনিয়র এডভাইজার ও বৃহত্তর ঢাকা সমিতির জেনারেল সেক্রেটারী মোঃ হাবিবুর রহমান এবং অধ্যাপক মোঃ আবুল কাশেম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের চক্ষু রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোজাম্মেল হক শরিফি। গ্লুকোমা রোগ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন ইন্টার্নী চিকিৎসক সালমা আক্তার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন আবদুল মান্নান রানা, ইঞ্জিঃ মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী (ডোনার) সৈয়দ আজিজ নাজিম উদ্দীন, ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী জনাব মোহাম্মদ সাগির, স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারী মোঃ আহসান উল্লাহ, মেম্বার খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, ডাঃ ফজল করিম বাবুল।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব এ এস এম জাফর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডাঃ এ কে এম আশরাফুল করিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আলমগীর হোসাইন পিলু বলেন আমি অভিভূত আজকের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। মা  ও শিশু হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবা বেসরকারী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। যা সব মহলে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত। করোনা কালে আপনাদের চিকিৎসা সেবা চট্টগ্রামবাসী আজীবন স্মরণ রাখবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নতুন প্রকল্প হিসেবে অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের এই উদ্যোগ অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। আমি আশা করি এই ক্যান্সার হাসপাতাল খুব দ্রুত কার্যক্রম শুরু করবে এবং চট্টগ্রামের ক্যান্সার রোগীরা এখানে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। তিনি তার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন বলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুন নতুন সেবা যোগ হতে যাচ্ছে সবার সহযোগিতায় থাকলেই বিশ্বমানের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী বলেন স্বাস্থ্যসেবার বাতিঘর খ্যাত মা ও শিশু হাসপাতালের প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্ট অত্যন্ত দক্ষতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে বলেই চিকিৎসাসেবায় সর্ব জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। হাসপাতালে চক্ষু বিভাগ যে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে পরিচালনা পর্ষদ তাদের পাশে থেকেই কাজ করার আশ্বাস প্রদান করেন।
জেনারেল সেক্রেটারি রেজাউল করিম আজাদ বলেন চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুখবর হচ্ছে মা ও শিশু হাসপাতালে নির্মিত হচ্ছে ক্যান্সার হাসপাতাল। এই ক্যান্সার ইনস্টিটিউট নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় হবে ১২০ কোটি টাকা। সবার আন্তরিক সহযোগিতা থাকলে বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ডাক্তারগণ অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইন্টার্নী চিকিৎসক হুমায়রা।
শেয়ার করুন