বাঁশখালী উপজেলা গন্ডামারা ইউনিয়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ ১৩২০ মেগাওয়াটের এস এস পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত শ্রমিক আবুল কালাম (১৮) কে ছুরির আঘাত করে নগদ অর্থ সহ মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারীরা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায় আবুল কালাম স্থানীয় ইয়াসিনের মুদির দোকান থেকে বাজার করে বাসায় ফেরার পথেই স্থানীয় দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী ছৈয়দুল আলম ও শহীদুল্লাহ পথিমধ্যে পথ অবরুদ্ধ করে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত আর মারধর করে মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
এস এস পাওয়ার প্লান্ট ঘেসেই ১ ও ৪ নং ওয়ার্ডের সংযোগ শাহ ফতেহ আলী সড়কের উত্তর পাশে স্থানীয় আশরাফ আলী প্রকাশ (আশুর ) ঘরের সামনেই ৯ এপ্রিল শনিবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ছিনতাইকারীর ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীরা হলেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আলী আহমদের পুত্র ছৈয়দুল আলম ও মোহাম্মদ জাকেরর পুত্র শহীদুল্লাহ।
এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন স্থানীয় ইয়াসিনের মুদির দোকান থেকে বাজার করে বাসায় ফেরার পথে পেছন থেকে এসে আমাকে জোরপূর্বক ভাবে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ওরা আমার চোখ, গলা ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে ছুরির আঘাত আর মারধর করে নগদ অর্থ সহ আমার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি খেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই প্রদীপ চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পাওয়ার প্ল্যান্টের শ্রমিকের মোবাইল ছিনতাই বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়।
দুষ্কৃতিকারীদের কে ধরার জন্য ইতিমধ্যে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা ইতিপূর্বে বিভিন্ন মামলায় জেলও খেটেছেন। জামিনে এসে পুনরায় এসব অপকর্মে লিপ্ত হয় বলে তিনি জানান।
সংবাদ পাওয়ার পর পরেই এস আই প্রদীপ চক্রবর্তী ও এসআই মামুনের সহযোগিতায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে রাত ১ টা সুচিকিৎসার জন্য বাঁশখালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইয়াসিন বলেন বেশ কয়েক মাস ধরে ছিনতাইকারীদের একটি গ্যাং বেশ সক্রিয়। তাঁরা প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা করেই যাচ্ছে। দিনে ও রাতেই রাস্তায় চলাচলরত অপরিচিত মানুষ আর পাওয়ার প্লান্টের কর্মরত শ্রমিকদের থেকে মোবাইলসহ সর্বস্ব লুট করে নেই এসব ছিনতাইকারী সদস্যরা।। যারা প্লানের বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন তাঁরা সব সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন এসব কর্মকাণ্ডে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি আলম বলেন এসব ছিনতাইকারী সদস্যদেরও কারণে আমাদের এলাকার মান সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। দিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত ছিনতাইকারী ঘটনা বেড়েই চলছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো কোন মামলা হয়নি।
এসব দুষ্কৃতিকারীদের কে এখনই নিভৃত করতে না পারলেই যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা বোধ করছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, বাঙালি ইমা কোম্পানি আর চাইনিজ জংজিজান এর আওতায় শ্রমিকের কাজ করেন আবুল কালাম। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার ৯ নম্বর সুরমা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের এমাদউদ্দীনের ছেলে।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ১১৬