সোমবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদের কেনাকাটা করা হলো না লরির চাকায় পিষ্ঠে প্রাণ গেল পিতা-পুত্রের 

আবু সালেহ সিকদারের ঈদের কেনাকাটা করা হলো না সস্ত্রীক রিক্সাযোগে নয় মাসের নবজাতক আর চার বছরের দুই ছেলেকে নিয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে কেনাকাটা করতে বের হয়।  পথিমধ্যে কন্টেইনার লরির ধাক্কায় চাপা পড়ে  চাকার সাথে পিষ্ট হয়ে জীবন প্রদীপ নিভে গেল আবু ছালেহ্ সিকদার (৩৫) ও তাঁর নয় মাসের নবজাতক আব্দুল্লাহ্ আল মমিনের।
চার বছরের ছেলে গাড়ীর ধাক্কায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে স্বামী সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক প্রায় মনিরা আক্তার কলি। ৯ এপ্রিল আনুমানিক ১১টা ২০ মিনিটের সময় রিক্সা আবু সালেহ সিকদার (৩৫) তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান কে নিয়ে রিক্সাযোগে নগরীর ইপিজেড বন্দরটিলার শাহ্ প্লাজা মার্কেটের সামনে আসলেই ‌পণ্যবাহী লরি চট্টমেট্রো-ঢ-৬১-০১৭৯ নম্বর গাড়ীটি পিছন দিক থেকে যাত্রীবাহী রিক্সাকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলে পিতা-পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
জানা যায়, নিহত আবু ছালেহ্ সিকদার এর গ্রামের বাড়ী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার পূর্ব গোটাবাছা গ্রামে। সে ইপিজেডের এইচকেডি গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায় লরির ড্রাইভার এর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই মূলত এই দুর্ঘটনার শিকার হয় তারা।
উৎসুক জনতারা দীর্ঘ এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে লরি গাড়ীটি ইপিজেড থানা হেফাজতে রয়েছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
ইপিজেড থানার অফিসার্স ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম citynewst24.tv কে জানান লরি গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পিতা-পুত্র দুইজন নিহত হয়েছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমকে প্রেরণ করা হবে। দুর্ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
শেয়ার করুন