মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর।।
বারো আউলিয়ার পূণ্য ভূমি হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির থানার অন্তর্গত মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম প্রবর্তক অলীকুলের শিরোমনী আওলাদের রসূল (দ.) গাউছুল আযম মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারীর দৌহিত্র ও মাওলানা শাহ সৈয়দ মাহবুবুল বশর মাইজভান্ডারীর দ্বিতীয় পুত্র ও শাহেবজাদা গোলাম রসূল মাইজভান্ডারী পিতা মাওলানা সৈয়দ সমসুদ্দোহা মাইজভান্ডারীর নামাজে জানাযা গতকাল ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার) বাদে আসর মাইজভান্ডার দরবার শরীফের শাহী দরবারের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
হযরত মাওলানা সৈয়দ সমসুদ্দোহা মাইজভান্ডারী (ক.) এর চরিত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো রাসূল (দ.) এর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করা। তিনি সাদাসিদে জীবন যাপন করেছেন। তাঁর মতো বিনয়ী ও উদার প্রকৃতির মানুষ কমই দেখা যায়। পার্থিব জীবনের চেয়ে পরকালীন জীবনকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। শাহানশাহ মাওলানা সৈয়দ সমসুদ্দোহা মাইজভান্ডারী (ক.) এর জীবনে পার্থিব মোহ লোভ লালসা বলতে কিছুই ছিল না। তিনি বলতেন, ‘নিজের ভিতর দৃষ্টি দাও, বহির্জগতের চেয়েও অপরূপ সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখতে পাবে।
মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ১ পুত্র ২ কন্যা নাতি-নাতনি আত্মীয় স্বজন গুনগ্রাহী সহ অসংখ্য মাইজভান্ডার তরিকার ভক্তানুরাগী রেখে গেছেন।
জানাজার নামাজ এর ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ভাই হযরত শাহ্সুফী আলহাজ্ব সৈয়দ ছদরুল উলা এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন ভ্রাতুষ্পুত্র ডাক্তার আল্লামা সৈয়দ মিশকাতুন নুর মাইজভান্ডারী।
যে সকল ভক্তানুরাগী মরহুমের নামাযে জানাযায় শরীক হয়ে রুহের মাগফেরাত কামনা করার পাশা পাশি তাঁর সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তাদের সকলে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মরহুমের একমাত্র শাহেবজাদা সৈয়দ গোলাম রসূল মাইজভান্ডারী।
মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভুতি ও সমবেদনা জানান তাঁর চাচাতো ভাই এবং ফটিকছড়ির আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ফটিকছড়ি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সানি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী, সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী, সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজরুল হুদা মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজিম উদ্দিন মাইজভান্ডারী, এডভোকেট সৈয়দ মিফতাহুল নুর মাইজভান্ডারী, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোছাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী নাজিম উদ্দিন মুহুরী, ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসেন মাহমুদ, মো: খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী, মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের, চসিক সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মনজুর আলম মঞ্জু, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ফিনলে প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন চেম্বারের পরিচালক বিশিষ্ট শিপ ইয়ার্ড ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লেয়াকত আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব এস এম মোরশেদ হোসেন, ট্রেজারার আলহাজ্ব রেজাউল করিম আজাদ, দাতা সদস্য এবং মরহুম নুরুল আবছার চৌধুরী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি: মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী ও সদস্য লায়ন ড: মো: সানাউল্লাহ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব এস এম শওকত হোসেন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী ও ট্রেজারার এবং সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব আবু জাফর, সিপিডিএলের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন চৌধুরী ও মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক শাহীন আলম টিপু, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাঈদ ইরান, রহমান মঞ্জিলের অনেক আওলাদ, অসংখ্য মাইজভান্ডারের মুরিদান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।