মুহাম্মদ মহিউদ্দিন (বাঁশখালী) চট্টগ্রাম :
বাঁশখালী উপজেলা চাম্বল ইউনিয়নের আব্দুল গফুর সিকদার বাড়ীর অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা
মরহুম রহমত উল্লাহ চৌধুরী ছোট সন্তান এডভোকেট নাজমুল আলম চৌধুরী দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্র্যাকটিশনার আইনজীবী হিসাবে নির্বাচিত হলেন।
তাঁর এমন সু সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তে মধ্যে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে প্রশংসার ঝড় উঠেছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে।
এডভোকেট নাজমুল আলম ছোটবেলা থেকে কৃতিত্বের সহিত বিভিন্ন অঙ্গনে মেজাজ স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি উত্তর চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বৃত্তি অর্জন করে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করার জন্য চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০০২ সনে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করার লক্ষ্যে ২০০৪ সনে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্শিয়াল কলেজে ভর্তি হন। পটিয়া হুলাইন ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত রাষ্টবিজ্ঞান থেকে প্রথম বিভাগে পাশ করে ডিগ্রী অর্জন করেন।
সমাজে অবহেলিত বঞ্চিত সুশিত জনগোষ্ঠীকে আইনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে একই সাথে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আইনে জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের খ্যাত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি হতে এল এল বি তে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন একই ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম(মাস্টার্সে) অর্জন করে কৃতিত্বের সহিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে এডভোকেট সনদ অর্জন করে।
২০১৯ সনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদন করে দক্ষতার সহিত লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন। গত ১৪/০৮/২০২২ ইংরেজি তারিখে প্রকাশিত ভাইভা পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের অধিনে হাই কোর্ট ডিভিশনে আইনজীবী হিসেবে চুড়ান্তভাবে পাশ করেন।
বর্তমানে তিনি বাঁশখালী আইনজীবী সমিতির অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বাঁশখালী আদালত সমুহে ন্যায় ও নিষ্ঠার সহিত আইনি সহায়তা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
রত্নাগর্ব মরহুম রহমত উল্লাহ চৌধুরীর চার পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে এক সন্তান সাব ইন্সপেক্টর বাংলাদেশ পুলিশে হাজীগঞ্জ থানায় কর্মরত ,মেজ ছেলে আরিফুল আলম চৌধুরী, সচিব ইউনিয়ন পরিষদ বাহারছড়া এবং বড় ছেলে ছাইদুল আলম চৌধুরী আনসার কমান্ডার হিসেবে দেশ ও জনগনের সেবাই নিয়োজিত রয়েছেন।
দুই কন্যার মধ্যে বড় মেয়ে কাউসার পারভিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হইতে বাংলায় আনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করে উত্তর চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে এবং ছোট কন্যা ইয়াছমিন খানম চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ইংরেজি বিভাগে আনার্স শেষে বিসিএস প্রত্যাশী।
এডভোকেট নাজমুল আলম চৌধুরী বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের ছাদেক সিকদারের বাড়ীর মরহুম শামসুল ইসলামের একমাত্র কন্যাকে বিবাহ করেন।
পিতৃতুল্য অভিভাবক হিসেবে নিজ বাড়ীতি উপস্থিত তাঁহার চাচা চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী তাঁহার উজ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করার পাশাপাশি তাঁর মরহুম ভাইয়ের রুহে মাখরাত মাগফিরাত কামনা করে বলেন বাড়ীর ঐতিহ্য রক্ষা করে দেশ ও দশের সেবা করে আইনি পেশায় নিয়োজিত থাকবেন এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এডভোকেট নাজমুল আলমের এমন কৃতিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর কাছে ,আমার এই সফলতা অর্জনের পেছনে যে মানুষগুলোর সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন আমার পিতা-মাতা । মরহুম পিতার আদর্শে জীবন গড়ার মধ্য দিয়ে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৭