নগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা (ভিডিওসহ)

ইউটিউব লিংক ক্লিক করলেই ভিডিও সংবাদ পাবেন।। https://youtu.be/o_QOc7g6Rwk

আজ আমি আপনাদের কাছে শোকের কথা বলতে আসি নাই, ক্রন্দনের কথা বলতে আসি নাই, আমি আজ আপনাদের কাছে এটাই বলতে এসেছি আমার বোন আমার প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন আমি কিছুই আশা করি না তখন বুকফাটা কান্না উঠে। যে মেয়েটি পিতা-মাতা ভাই বোন আত্মীয়স্বজন সকলকে হারিয়ে আমাদের জন্য কাজ করে নিজেকে উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। ২৪ টি বার যাকে হত্যা করার জন্য ওই একাত্তরের পরাজিত ধূসররা চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর রহমতে আমার প্রিয় বোন ও প্রধানমন্ত্রী বেঁচে যান। সেই পরাজিত ধূসরদের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই আগামী নির্বাচনে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলমত নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনকে এক যুগে কাজ করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন একাত্তরের ১৫ই আগস্ট যারা নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবার কে যারা হত্যা করেছে সেসব কুলাংখারদের যাদের বিচার হয়নি বিদেশের মাটিতে আছে তাদেরকে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে সংগঠনের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ওই টুঙ্গিপাড়ায় ছোট্ট খোকা হয়ে জন্মগ্রহণ করে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুজিব ভাই, পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপক পরিচিত লাভ করে। ৫৫ বছর বয়সেই এদেশের মাটি ও মানুষের স্বাধীনতার ফিরিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে ছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনকালে বঙ্গবন্ধু ১৮ বার জেলে গেছেন এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন দুবার। ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে তিনি এবং তাঁর পরিবারকে সপরিবারে হত্যা করে। এই দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি চেয়েছিলেন এই বাংলার জনপদকে সোনার বাংলায় পরিণত করবে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গ বেঁচে থাকলেই  বহু আগে এই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করত। পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতেই তারই উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা

 এদেশের মাঠি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বর্তমান ক্রান্তি লগ্নে কঠিন সংকট মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব তালুকদার আক্ষেপ করে বলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলন থেকে বেড়ে উঠা আওয়ামী লীগের এক ঝাঁক পরীক্ষিত রাজনীতিবিদরা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠনে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  হাতকে শক্তিশালী করতে যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মাঠে ময়দানে আজ তাঁরা বিভিন্নভাবে অবহেলিত। এমনকি  ্ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ন্যায় মূলদলের  কোনো কর্মসূচিতে আন্দোলন সংগ্রামে আমাদেরকে ডাকা হয়না। পিতা মুজিবের আদর্শকে বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশ মাতৃকার উন্নয়নে আমরাও অবদান রাখতে চাই ।

আওয়ামী লীগের যে কোন কর্মসূচিতে তাঁদেরকে সঙ্গে রাখার জন্য নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের কাছে আহ্বান জানান।