রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পতেঙ্গার বেড়িবাঁধে যুবককে খুন করে ৬ তরুণ

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর :

নগরের পতেঙ্গার বেড়িবাঁধে ছুরিকাঘাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহতের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মাথায় হত্যায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আনুমানিক ৪০ বছরের অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহতের পিঠে ২১টি, বুকে ৪টি, কাঁধে ১টি এবং দুহাতে ২টি ছুরিকাঘাতের জখম শনাক্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করে।

তদন্ত নামে পুলিশ, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যার সাথে জড়িত ৬ ব্যক্তি  মো. আলমগীর (২০), তানভীর হোসেন মীম (১৮), মো. জাহিদ হোসেন ইমন (১৮), মো. আলী আকবর প্রকাশ গুরু (২০), মো. নাসিম (২০) ও মো. মনির উদ্দিন হৃদয় (২০) কে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন,

অজ্ঞাত যুবককে হত্যার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। এসময় রক্তমাখা একটি শার্ট পরিধান করে মো. আলমগীর এলাকায় ঘুরফেরা করছে এমন খবরে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞাত ওই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করে মো. আলমগীর। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর ) পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা একটি ছিনতাই চক্র।

আজ (সোমবার) তাদের আদালেতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে তারা ছিনতাইয়ে বের হয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে। ভিকটিম রাত আনুমানিক ১টার দিকে মুসলিমাবাদ থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মো. আলমগীর তাকে আটক করে পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। ভুক্তভোগী তাকে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে গেলে আসামি আলমগীর আবারও পথ আটকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় অপর আসামিরা এগিয়ে এলে আলমগীর তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিহতের বুকে, কাঁধে ও পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে।

আরও পড়ুন  বাঁশখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: আহত অন্তত ৩৪

পতেঙ্গা থানার নবাগত ওসির চৌকোষ বুদ্ধি প্রজ্ঞার মাধ্যমে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি সর্ব মহলে প্রশংসায় ঝড় উঠেছে।

শেয়ার করুন