বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম দাখিল নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামের

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর ।।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর। জেলা পরিষদের বাঁশখালীর ১২ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা শিকদার সংগ্রাম।

বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এ সময় তাঁর সাথে প্রস্তাবক সমর্থক সহ বাঁশখালী বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার গণমাধ্যমকর্মী এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম ছাত্রনেতা থেকে বেড়ে ওঠা একজন প্রথিতযশা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রযাত্রায় যার পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মত। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
বাঁশখালীর চৌদ্দটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও একটি পৌরসভার জন প্রতিনিধিদের ১৯২ ভোটে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তিনি।
করোনার কঠিন ক্রান্তিলগ্নে বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যখন বেসামাল ঠিক তখনিই তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে নিজ এলাকা ও এলাকার বাইরের হাজার হাজার অসহায় মানুষকে তিনি সাহায্য সহযোগিতা করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে এখনো সহায়তার হাত অব্যাহত রেখেছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের বিষয়ে অধ্যাপক নুরুল মুস্তাফার সিকদার সংগ্রাম থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার যে দৃঢ   ় সংকল্প নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করছে তার স্বপ্নের সারাথী হিসেবে কাজ করতে  চাই। আলহামদুলিল্লাহ চট্টগ্রাম জেলা প‌রিষদ নির্বাচ‌নে বাঁশখালী আস‌নের সদস‌্য প‌দে সাধারণ জনগণের কথা বলতে এবং তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ম‌নোনয়ন পত্র জমা করলাম এইজন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করে সুচিন্তিত রায়ের প্রত্যাশা করছি।
আর এই দিকে একজন দক্ষ সমাজকর্মী ও রাজনীতি ব্যক্তি হিসেবে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সমগ্র বাঁশখালীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড় উঠেছে। তিনি বিজয় হলে তাঁর চৌকশ মেধা দীপ্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আগামীতে অধ্যাপক নুরুল মোস্তফার সিকদার সংগ্রামের হাত ধরেই অবহেলিত বাঁশখালীতে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঠিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
 
 
জেলা পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনেই গতকাল বৃহস্পতিবারে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রাপ্তি এটিএম পিয়ারুল ইসলাম সহ তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী হলেন আনোয়ারা থেকে বিএনএফ নেতা নারায়ণ রক্ষিত হাটহাজারী থেকে কৃষক লীগ নেতা এডভোকেট ফাইজুল ইসলাম। পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বিপরীতে মহিলা সদস্যদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৬ জন এবং ১৫ টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬১ জন।
এদের মধ্যে রাউজান ওয়ার্ডে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াহাব এবং রাঙ্গুনিয়া ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা : ১ নম্বর মীরসরাই সাধারণ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, মিহির কান্তি নাথ ও কালু কুমার দে। ২ নম্বর সীতাকুণ্ড ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আ ম ম দিলশাদ ও মো. শওকতুল আলম। ৩ নম্বর সন্দ্বীপ ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন মো. নুরুন্নবী ভুট্টো, মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নাদিম শাহা আলমগীর, কামরুল হাসান আলাল, মিজানুর রহমান, মো. মাহফুজুর রহমান, শাহেদ সরোয়ার শামীম, মো. আলাউদ্দিন ও মো. সাখাওয়াত হোসেন। ৪ নম্বর ফটিকছড়ি ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মো. আমান উল্লাহ খান ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ। ৫ নম্বর হাটহাজারী ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ আবু আলম, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী, জাফর আহমেদ, মোহাম্মদ আলমগীর, মো. এজাহার মিয়া, মো. নুরুল আবছার, মো. সেলিম উদ্দীন, এইচ এম আলী আবরাহা ও মো. মনজুর হোসেন চৌধুরী। ৬ নম্বর রাউজান ওয়ার্ডে একমাত্র প্রার্থী কাজী আবদুল ওহাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে ৭ নম্বর রাঙ্গুনিয়া সাধারণ ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৮ নম্বর বোয়ালখালী ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ এমরান, মোহাম্মদ ইউনুছ, মো. আবুল মোকারম, এসএম মিজানুর রহমান, মনসুর আহমদ ও বোরহান উদ্দিন মো. এমরান। ৯ নম্বর কর্ণফুলী ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসলাম আহমদ ও অধ্যাপক মো. রাশেদুল হাসান, ১০ নম্বর পটিয়া ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও দেবব্রত দাশ, ১১ নম্বর চন্দনাইশ ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন আবু আহমেদ চৌধুরী ও মো. শেখ টিপু চৌধুরী। ১২ নম্বর বাঁশখালী ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন ,মো. নুরুল মোস্তফা সিকদার, সাহাদত হোসেন চৌধুরী, মো. রায়হাদ চৌধুরী, মো. আবদুল আজিজ চৌধুরী, কল্যাণ বড়ুয়া, মো. হামিদ উল্লাহ, মো. নুর হোছাইন, এম জিললুল করিম শরীফি, মোজাম্মেল হক সিকদার, মোহাম্মদ আলমগীর কবির ও মো. খালেকুজ্জামান। ১৪ নম্বর সাতকানিয়া ওয়ার্ডে জমা দিয়েছেন আবদুল মালেক খান, মনির আহমদ, কামাল উদ্দিন, গোলাম ফেরদৌস ও আবদুল আলীম। ১৫ নম্বর লোহাগাড়া উপজেলা সাধারণ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আনোয়ার কামাল ও মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা : ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাহান আরা নাজনীন, ইয়াসমিন আক্তার কাকলী, রওশন আরা বেগম, ইসমত আরা সুলতানা, নার্গিস আক্তার ও দিলোয়ারা বেগম। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জমা দিয়েছেন দিলোয়ারা ইউসুফ, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা ও জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নিপা। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জমা দিয়েছেন তাহমিনা আকতার চৌধুরী, তিষণ ভট্টাচার্য, জগদা চৌধুরী, শারমিন আকতার ও মোস্তফা রাহিলা চৌধুরী। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জমা দিয়েছেন মোছাম্মৎ দিলু আরা বেগম, দিলুয়ারা বেগম, রেহানা বেগম (ফেরদৌস) চৌধুরী, সুমি দে, সাজেদা বেগম ও ফারহানা আফরীন জিনিয়া। ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জমা দিয়েছেন দিলুয়ারা বেগম, রুখসানা আকতার, শাহিদা আকতার জাহান, শিকু আরা বেগম, তসলিমা আকতার ও সুরাইয়া খানম।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই  আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
 
 
শেয়ার করুন