মোহাম্মদ ইলিয়াছ, লামা(বান্দরবান) থেকে:
বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মহরমকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার খুরশিদা নামের এক মহিলার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে খুরশিদা ও তার বিপরীত পক্ষ জায়গা সংক্রান্ত একটা বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মহরমকে ডেকে নিয়ে যায়। তবে মীমাংসার বিষয়ে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষকে অনেক ভাবে বুঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয় প্যানেল চেয়ারম্যান। পরে তাদেরকে আদালতের ধারস্থ হতে পরামর্শ দেয়। কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান বিচার মীমাংসা না করতে পারায় খুরশিদা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে গিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের নামেসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা করে দেয়।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে মামলায় যে ৮ জনকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা কেউ জানেনা এই চাঁদাবাজি মামলার ব্যাপারে। এমনকি প্যানেল চেয়ারম্যানকে মামলায় জড়ানো, আর কে কে আসামী রয়েছে, কেনো তাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে, কিছুই জানেনা স্বাক্ষীরা। স্বাক্ষীদের বক্তব্য সংবলিত ভিডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের কাছে জমা রয়েছে।
মোবারক হোসের মহরম বিপুলভোটে টানা ৩য় বার নির্বাচিত আজিজনগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এবং বর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যান। তাছাড়াও ২ বার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, চেয়েছি তাদেরকে মীমাংসা করে দিতে কিন্তু তারা না মানলে তো আমার কিছু করার নাই।এই মিথ্যা মামলাটা কার প্ররোচনায় করেছে আমার জানা নেই। এর জবাব তো স্বাক্ষীরাই দিয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এই প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চৌধুরী, আজিজনগর কৃষক লীগের সভাপতি মৃদুল কান্তি দাশ, ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক মহি উদ্দিন সও, ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেন, উথোয়াই মার্মা, আবুল হাসেম, সেলিম উদ্দিনসহ এলাকার সর্বস্থরের জনগন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিচার মীমাংসা করতে গিয়ে যদি জনপ্রতিনিধিদের এভাবে হেনস্থা হতে হয় তাহলে কীভাবে দ্বায়িত্ব পালন করবো। এই মামলার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।