উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাণ্ডব চালিয়েছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় । খুলনা, সন্দীপ, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে, হালিশহর, পতেঙ্গা ,সেন্টমার্টিন কক্সবাজার, পেকুয়া উজানটিয়া, বাঁশখালীর গন্ডামারা, শিলকুপ, খানখানাবাদ, সরল এইসব জায়গায় সিত্রাংয়ের ভয়াবহতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এইসব এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। সারাদেশে পাঁচ জেলায় ৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর এই দিকে সিত্রাং ধীরে ধীরে আরো দুর্বল হয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে এটি ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া হয়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
এর মধ্য দিয়েই এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ায় মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকেও ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।