মুহাম্মদ মহিউদ্দিন (চট্টগ্রাম)মহানগর।।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম প্রফেসর ডা.এ এস এম ফজলুল করিমের কুলখানি উপলক্ষে ৭ নভেম্বর-২২ ইংরেজি সোমবার বাদ আছর চট্টগ্রাম আমানত শাহ দরগাহ সংলগ্ন তানজিমুল মুসলেমিন এতিমখানা ও হেফজখানায় দোয়া , মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে গভর্নিং বডির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. গোফরানুল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য প্রবীণ চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম আজাদ,ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাবেদ আফসার চৌধুরী, ট্রেজারার অধ্যক্ষ ডক্টর লায়ন মোঃ সানাউল্লাহ ,পরিচালক প্রশাসন ডা.মোঃ নুরুল হক উপ পরিচালক প্রশাসন মোঃ মোশারফ হোসেন, উপ-পরিচালক মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স ডাক্তার এ কে এম আশরাফুল করিম, হাসপাতালের আজীবন সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক হাফেজ মুহাম্মদ আমানুল্লাহ, চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হামিদ হোসাইন চকরিয়া সমিতির কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ, হাসেম উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন মানিক, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, ওয়ালিদুল আজিম, লায়ন ওসমান সারওয়ার, হাসপাতালে আজীবন সদস্য এসএম সালাউদ্দিন সামির, আজীবন সদস্য আবু হানিফ, ইমাম রাজি ইবনে জাহেদ প্রমুখ। সবাই তারা বলেন মরহুম প্রফেসর ডাক্তার এ এস এম ফজলুল করিম সাহেব ছিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত একজন মানবিক মানুষ। একজন বরেণ্য চিকিৎসক, একজন গুণী শিক্ষক একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন ফজলুল করিম। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের স্বপ্নদ্রষ্টা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফজলুল করিম।তিল তিল করে তিনি এই হাসপাতাল কে গড়ে তুলেছেন। আজ এটি দেশের অন্যতম একটি সারা হাসপাতাল হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে।।তার প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল যতদিন থাকবে ততদিন এই অঞ্চলের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে তাকে স্মরণ করবে। সভাতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং তার ভালো কাজগুলো যাতে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করেন এজন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।। এই উপলক্ষে তানজিমুল মুসলিমিন এতিমখানা ও হেফজখানায় ২০০ এতিম শিশুকে রাতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ১০