কোনদিকে যাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি সেদিকের নানান পর্যবেক্ষণের চিত্র তুলে ধরে
প্রতিনিয়ত আপডেট জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি কোথায় ছিলো জানালো আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি।বুধবার রাতে দেওয়া আবহাওয়া ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (১০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
এর আগে দুপুর ২টায় দেওয়া ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। সে হিসেবে এটি ৬ ঘণ্টায় বাংলাদেশের দিকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে।
রাতের বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমন্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে বলেও জানানো হয়।
দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বিকেলে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১২ মে নাগাদ মোখা উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মায়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে এবং আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ধারণা করা হচ্ছে ঘণ্টায় ১৮০-২২০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পূর্বাভাস অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, শরনার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-সিপিপি কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগাম সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য।’চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় যত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে তা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। উপকূলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা নেওয়ায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ পরিবহন ও পুলিশ। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি