তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে এখন চলছে গণনা। ভোটাররা এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন। এই ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা তুরস্কের ভাগ্য।রবিবার (১৪ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
তুরস্কের আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৯টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টা) আগে নির্বাচনের কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। অর্থাৎ, রাত ৯টার পর থেকে ভোটের ফলাফল পাওয়া যাবে।
কে আসছে ক্ষমতায়, তা নিয়ে আগে থেকেই চলছিল ব্যাপক আলোচনা। ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নাকি রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) কেমাল কিলিকদারোগলু? আলোচনায় বাদ পড়েনি অপর প্রার্থী সিনান ওগানও। আজকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঁচ জোটের মাধ্যমে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল এবং ১৫০ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই ভোটগ্রহণের জন্য সারা দেশে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বক্স স্থাপন করা হয়। এবার নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছয় কোটি ৪১ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে বিদেশে অবস্থানরত ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ভোটার তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন। আর এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট ৪৯ লাখ নতুন ভোটার।