মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।।
বহদ্দারহাট ১ কিলোমিটার ইলিয়াস ব্রাদার্স এর মাঠে কোরবানির পশু বিক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ নাই ।বাজারে গরু প্রবেশ করলেই এই গরু আর চাইলে আপনি বের করতে পারবেন না। হাজার-হাজার গরু বেপারিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিস্ট্রিক থেকে গরু নিয়ে এসেছেন হাটে।আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা
গরুর দাম কমে যাওয়াতে গরু বেপারিরা হাট থেকে গরু বের করে তাদের নিজস্ব গন্তব্যে চলে যেতে চাইলে ইজারাদাররা গরু বের করতে দিচ্ছে না নানান প্রকার তালবাহানা সৃষ্টি করছে,কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন ২ কোটি টাকা দিয়ে হাট ইজারা নেওয়ার পরেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদেরকেকে গরু বিক্রির জন্য জায়গা দেননি। জায়গা ভাড়া দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এসব হয়রানি।
ফলে শত শত গরু বেপারীরা আগামীকাল তাদের নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ পড়তে পারবে না । থাকতে হবে পশুর হাটে।
বাজারে গরু বিক্রি করতে আসলে যেসব ভোগান্তির শিকার হতে হবে ( ১) গরু বিক্রি করতে পারেন আর না পারেন যে জায়গায়
গরু রাখবে (খাইন) ভাড়া দিতে হবে প্রতি গরুর জন্য দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এরপর গরু বিক্রি হলে ক্রেতাকে দিতে হবে হাসিল।
এমন নানাবিধ বিড়ম্বনার শিকার শত শত গরু বেপারীরা। বাঁশখালী থেকে গরু বিক্রি করতে এসে হয়রানির শিকার হওয়া নুরুদ্দিন ও
ফারুক আজমের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ঘটনার সত্যতা দেখে
চাঁদগাও থানার অফিসার ইনচার্জ
মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম কে অবগত করলেই তার হস্তক্ষেপে তড়িৎ গতিতে ওই থানার এস আই আজিজুল হকের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত হাট থেকে দুইজনের গরু বের করে আনতে সক্ষম হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শত শত পশু বিক্রেতারা ইজরা দারদের অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছেন হাট থেকে গরু বের করতে। ওসি মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম আশ্বস্ত করেছেন এইসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এমন নরক যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চাই গরু বেপারীরা।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
এই বিষয়ে জানতে ইজারাদার সাইফুল আলমের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ২