শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শকসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারের পর তানভীর হোসেন তুর্কিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত  ৭ মার্চ  বৃহস্পতিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালতে মামলাটি করেন তুর্কির ভাই রাহাত হোসেন কফিল। 
মামলার আসামিরা হলেন- সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী, এসআই মো. আবদুর রহিম, মোস্তাক আহম্মদ, এএসআই রেজাউল করিম, মো. ইকবাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মানিক ও কনস্টেবল কবির হোসাইন।বাদীর আইনজীবী জুবাইরুল ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এএসপি সাতকানিয়া সার্কেলকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর ভাই তানভীর হোসেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিলেন। ওই দিন বিকেলে সাদাপোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে খবর নিতে তাঁদের আরেক ভাই হিরু হোসেন থানায় যান। সেখানে দেখতে পান তাঁর ভাই তানভীরকে থানায় বেধড়ক পেটানো হচ্ছে।
কেন পেটানো হচ্ছে, জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা হিরুকেও থানায় আটকে রাখেন। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ একটি দেশীয় অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করার কথা জানায় তানভীরের কাছ থেকে। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখন কোনো অস্ত্র পায়নি। তুর্কি সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুসারী। গত সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আসামিরা তুর্কিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাইজপাড়া বিল থেকে একটি অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজসহ তানভীরকে আটক করা হয়েছে। তখন সেখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সাক্ষী দিয়েছেন। তানভীরের বিরুদ্ধে থানায় আগেও সাতটি মামলা রয়েছে।’ নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আটকের সময় ধস্তাধস্তিতে সামান্য আঘাত পেয়েছেন আসামি। তাঁকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ার করুন