শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

কাশি হলে এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

আবহাওয়ার পরিবর্তনে কাশিতে ভুগছেন অনেকেই। সারাদিন খুক খুক করে কেশেই চলছেন। কাশি কমাতে ভরসা রাখছেন কফ সিরাপে। কিন্তু তা খেয়েও মুক্তি মিলছে না। উল্টো বাড়ছে কাশি।

কেবল তাই নয়, এমন কিছু খাবারও রয়েছে যা কাশির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা কাশি হলে কিছু খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার 

শরীরের জন্য দুধ, ছানা, দই, পনির অত্যন্ত উপকারী। এসব খাবারে রয়েছে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, প্রোটিনের মতো একাধিক জরুরি পুষ্টি উপাদান। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত এসব খাবার খেতেই হবে। কিন্তু উপকারি হলেও কাশির সময় এসব খাবার কিছুটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

কারণ, দুগ্ধজাত খাবার খেলে মিউকাস বা কফ বেশি পরিমাণে তৈরি হতে পারে। ফলে বাড়তে পারে কাশির প্রকোপ। তাই কাশি হলে ছানা, পনির, দইয়ের মতো খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

ঝাল-মসলাদার খাবার 

অনেকেই মনে করেন কাশি হলে বা বুকে কফ জমলে মসলাদার খাবার খাওয়া উচিত। এতে চটজলদি কফ চলে যায়। কমে কাশির মাত্রাও। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। উল্টো কাশির সময় এমন খাবার খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

কারণ, ঝাল-মসলাদার খাবারে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান থাকে। আর এই উপাদান ফুসফুস ও শ্বাসনালীর ইরিটেশন বাড়ায়। ফলে কাশির প্রকোপ বাড়ে।

প্রসেসড খাবার 

আপনি কি নিয়মিত পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার খান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সাবধান হোন। কারণ, এসব প্রসেসড খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো থাকে যা শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষত, কাশির সময় এমন খাবার খেলে বিপদ বাড়ে। সমস্যা কমতে চায় না। তাই, কাশির সময় প্রসেসড ফুড খাবেন না।

মিষ্টি 

মিষ্টির প্রতি অনেকেরই ঝোঁক আছে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য মিষ্টি ক্ষতিকর উপাদান। মিষ্টি খাওয়ার কারণে শরীরে একাধিক জটিল অসুখ বাসা বাঁধে। কাশি হলে ভুলেও মিষ্টি খাবেন না। এতে শরীরে প্রদাহ বাড়বে। মিষ্টির কারণে কফ বেশি পরিমাণে তৈরি হতে পারে। এমনকী বাড়তে পারে কাশির প্রকোপ।

কাশি হলে খাবেন কী? 

কাশি হলে পাতে রাখুন মরশুমি সব শাক, সবজি ও ফল। এসব প্রাকৃতিক খাবারে ভরপুর ভিটামিন সি রয়েছে। এসব খাবার খেলে ইমিউনিটি এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ে। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। পাশাপাশি রোজ খান মাছ, মাংস, ডিম, সয়াবিনের মতো খাবার। এতে দেহে প্রোটিনের চাহিদা মিটে যাবে। দূরে থাকবে একাধিক জটিল অসুখ।

শেয়ার করুন