শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

বাইডেনকে ইস্তফা দিয়ে কমলাকে প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হারিসকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি। তবে তার আগে স্বল্প মেয়াদের জন্য হলেও কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চাইছেন অনেক আমেরিকান। আর এই প্রস্তাব তুলেছেন বাইডেন-কমলা প্রশাসনের সাবেক কর্মী জামাল সিমন্স। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এ রবিবার এক বিতর্কসভায় প্রথম এই প্রস্তাব দেন জামাল। পরে নিজের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলেও বাইডেনের ইস্তফার দাবি তোলেন তিনি। এতে সমর্থন জানাচ্ছেন অনেক আমেরিকান।

জামাল দাবি করেন, এখন জো বাইডেনের উচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়া। যাতে ট্রাম্পের শপথগ্রহণের আগে পর্যন্ত ওই পদে হ্যারিস থাকতে পারেন। তার মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। তবে এবার তিনি কমলাকে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তথা প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান।

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক এই কর্মীর মতে, বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুর্দান্ত। তবে তিনি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি কাজ এখনো করেননি। সেটি হলো পরিবর্তনশীল হওয়া। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিয়ে কমলাকে সেই পদে বসাতে পারেন। যদিও এ বিষয়টি পুরোপুরি বাইডেনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন জামাল।

জামালের এই প্রস্তাবের কথা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই তাতে প্রচুর প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন জামালের সঙ্গে। কেউ কেউ আবার ভিন্ন মতও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছেন কমলা। তবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে কমলার। বাইডেনের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে তা প্রমাণ করেছেন তিনি। এমনকি এবারের নির্বাচন থেকেও বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর দলীয় প্রার্থী হিসেবে কমলার নাম প্রস্তাব করেছিলেন বাইডেন নিজেই।

আমেরিকা এখনো পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। কমলা এবার জিতলে, তিনিই হতে পারতেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তবে তা হয়নি। বাইডেন ইস্তফা দিয়ে কমলাকে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বসানো গেলে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেক আমেরিকান।

শেয়ার করুন