মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ।।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বালু সাপ্লাই নিয়ে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুরের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুজন করে চারজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সাবেক এক ছাত্র শিবির নেতাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিরসরাই জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের আজ সকালে কথাকাটি হয়। পরে এটি মারামারিতে রূপ নেয়। দুপুরের দিকে উভয় পক্ষ হামলায় লিপ্ত হয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর হামলা চালায়।
হামলায় আহতরা হলো- সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান, যু্বদল কর্মী মো. মামুন, জামায়াত কর্মী আলাউদ্দিন। এদের মধ্যে গুরতর আহত জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম বলেন, ‘নির্মাণ কাজের বালু ভরাটের কাজ কোনো গ্রুপের লোকদের দেওয়া হয়নি। স্যাম্পলের জন্য বালু নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়।’
ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান বলেন, ‘বালু ভরাটের কাজ তাদের লাইসেন্স জোরারগঞ্চ এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বালু ভরাটের সময় বাধা সৃষ্টি করে। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াতের হেলমেট বাহিনী, প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।’
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, ‘নির্মাণকাজের বালু সরবরাহের দায়িত্ব পায় জেএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু বালু পাঠানোর পর বিএনপির লোকজন আটকে দেয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে জামাল, আলী ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহত হয়।’
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রাজনৈতিক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশের টিম এসে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।