চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার ১আগস্ট ২১ ইং রাত ৯টায় অর্চনা বড়ুয়া ও স্বামী সুবোধ বড়ুয়া বাঁশখালী জলদী পৌরসভা এলাকার পরিচয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেজিষ্টারে কাল্পনিক এক ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারী করাতে ভর্তি হন এক যুবতি।অবশেষে পৃথিবীতে জম্মনিল একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। সন্তানকে দেখাতে হবে পৃথিবীর আলোর মূখ তাঁই সন্তান জম্ম দেওয়ার পরেই উধাও সন্তানের কথিত পরিচয় দানকারী নবজাতক ছেলের বাবা মা। এমন বাস্তব নাটকের দৃশ্যের অবতারণা ঘটনা ঘটেছে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে গতকাল রাত ৯ টার সময় হাসপাতালে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় এক যুবতি।ভর্তির আধা ঘন্টা পরেই একটি ছেলে বাচ্চার জম্মদেয় ঐ যুবতি।সন্তান জম্ম দেওয়ার ঠিক আধা ঘন্টা পরেই হাসপাতাল থেকে উধার নবজাতকের মা বাবা।
তবে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জানা যায়নি।বর্তমান ওই নবজাতক হাসপাতালের হেফাজতে রাখা হয়েছে । এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বাঁশখালী থানায় একটি জিডি করা করা হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় সামাজ সেবার মাধ্যমে নবজাতককে থানায় হস্তান্তর করা হবে।হাসপাতালের রেজিষ্টারে নির্দিষ্ট ঠিকানা লিপিবদ্ধ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রসব ব্যথা নিয়ে আসা একজন রোগীর তাৎক্ষনিক পূর্নাঙ্গ ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার চেয়ে চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করাই ছিল গুরুত্বপুর্ন ।
এ ঘটনায় পুরো বাঁশখালীতে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।নিঃসন্তান দম্পতি ওই নবজাতককে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকে। সকাল থেকেই বাচ্চাটি নেওয়ার জন্য অনেকে ভীড় জমায় হাসপাতাল এলাকায়।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তপন বড়ুয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে নবজাতকের পিতা-মাতার সঠিক সন্ধানে পুলিশ ও পৌর প্রশাসনের লোকজন অনেক অনুসন্ধান চালিয়েছে। উল্লেখিত নামে আমার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী বড়ুয়া পাড়া এলাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি।
সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপন হলো মাতা-পিতা। তদ্রুপ মা-বাবার জন্য সবচেয়ে আপন হলো সন্তান।সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তির এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। ধন-সম্পদ প্রাণ রক্ষার মাধ্যম, আর সন্তান বংশ রক্ষার মাধ্যম।সন্তানের প্রতি মা-বাবার রয়েছে অসংখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। জম্মের পর সন্তান তাঁর বাবা মা’র সন্ধান না পাওয়া এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে সমাজ বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে দেখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক নুরুল মুহাম্মদ কাদের। তারপরও সমাজ ব্যবস্থায় কেউ না কেউ পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এভাবেই বেঁচে থাকে মানবতা।