চট্টগ্রাম ইপিজেড মোড়ে ছাটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে কয়েকশ শ্রমিক। আজ শনিবার দুপুর ১ টার দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ওই সড়কে যান চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এক্সেলসিওর স্যুজ লিমিটেড নামের একটি কারখানার প্রায় ৪০ শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে প্রায় ২০০-২৫০ শ্রমিক সকাল থেকে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করছিল। দুপুর ১ টার দিকে তারা ইপিজেড মোড়ে এসে সড়কে অবস্থান নেয়।
পোশাক কর্মীদের সূত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম রপ্তানিপ্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) এক্সেলসিওর স্যুজ লিমিটেড নামে একটি জুতা তৈরি কারখানার ৪০ শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধরা। এসময় তারা সড়কে প্রায় আধঘণ্টা অবস্থান করে যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ বলছে, ওই শ্রমিকরা বিভিন্নসময় অন্য শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করতো। আন্দোলনের সময় কারখানা ভাঙচুরের সঙ্গেও কেউ কেউ জড়িত ছিল—এমন কারণ দেখিয়ে মালিকপক্ষ তাদের ছাঁটাই করেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগরের এম এ আজিজ সড়কের ইপিজেড থানার ফ্রিপোর্ট মোড় অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। জুতা তৈরির ওই কারখানাটি সিইপিজেডের ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত।
সরেজমিনে ফ্রিপোর্ট মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, সিইপিজেডে প্রবেশ মুখের সামনের সড়কেই শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এসময় তারা চাকরি ফেরতের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের পাশেই শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যের সতর্ক অবস্থান দেখা যায়।
শ্রমিকরা বলছেন, ঈদের আগে কোনো কারণ ব্যতীত তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। তারা চাকরি ফেরত চান। তারা কোনো অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এসপি (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে এক্সেলসিওর স্যুজ লিমিটেড ৪০ জন শ্রমিক ফ্রিপোর্ট মোড়ের সড়ক অবরোধ করেছিলেন দুপুরে। তারা আধঘণ্টার মতো সড়কে ছিলেন। এরপর তাদের বুঝিয়ে আমরা সড়ক থেকে সরিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ বলছে, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা বিভিন্নসময়ে কারখানায় কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তারা কারখানা ভাঙচুরের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তাই তাদের সব পাওয়াদি মিটিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছে। আমরা তাদের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছি।’












