শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ চোখ রাঙাচ্ছে ভয়াবহ তাণ্ডবের আশঙ্কা

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাগরে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এতে ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে এমনটা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। এটি শ্রীলংকার প্রস্তাবিত নাম।

রোববার (১১ মে) আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানিয়েছেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য আঘাতের এলাকা ভারতের ওড়িশা উপকূল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল।

এখনো ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমন যাচ্ছে, এতে করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

এর আগে, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছিল, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে। এরপর সেটি ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে। তাই স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সময়মতো প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় যে কোনো সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

বিডব্লিউওটি আরও বলেছে, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গভীর সাগরে চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তারা পরামর্শ দিয়েছে, এই সময় আবহাওয়ার আপডেট নিয়মিত অনুসরণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে হবে।

শেয়ার করুন