চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার মনসা নিবাসী ও বিএএফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রামের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (৬৭) আজ ২৩ জুন সোমবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র, ২ ভাই, ৩ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গত দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের পর ইনফেকশানজনিত কারণে তার অবস্থার দ্রæত অবনতি ঘটে। রোববার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিকেলে তিনি শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইউনুচ মরহুম প্রফেসর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের ভগ্নিপতি। আজ ২৩ জুন সোমবার রাত ১০টায় ঢাকার শ্যামলীতে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ২৪ জুন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পতেঙ্গা বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকে অবস্থিত বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা ও সকাল ১১টায় পটিয়া উপজেলার মনসা নিজ গ্রামে মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। প্রবীণ শিক্ষাবিদ নাসির উদ্দিনের ইন্তেকালে সমগ্র চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। বন্দর নগরীর পতেঙ্গা বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকে অবস্থিত বিএএফ শাহীন কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। দীর্ঘসময় তিনি নামকরা ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে অবসর গ্রহণের পর সীতাকুÐের কুমিরা আইআইইউসি কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত তার ছাত্রদের অনেকে এখন দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তার ইন্তেকালের খবরে সাবেক সহকর্মী, ছাত্রসহ অনেকেই শোক ও সহমর্মিতা জানাতে ছুটে যান হাসপাতাল এবং চট্টগ্রামের বাসায়। শিক্ষাবিদ নাসির উদ্দিনের ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।












