শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি,ঘটনার সূত্রপাত

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন এ আদেশ জারি করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, সহ-উপার্চার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর আবারো হামলা করেছেন স্থানীয়রা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাঝোতা করতে গেলে এ হামলা করা হয়।দুপুর ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ককটেল বিস্ফরণ ও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফসহ ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ বলেন, গতকাল সংঘর্ষের পর আজকে দুপুরে যেসকল শিক্ষার্থী দুই নম্বর গেট এলাকায় থাকে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। আমরা সকালে জিরো পয়েন্টে ছিলাম। পরে দুই নম্বর গেটে তাদের বাঁচাতে আসলে ওরা আবার আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রায় ৩৫ জন আহত। এখানে কোন পুলিশ প্রশাসনের লোক নেই। গতকাল সেনাবাহিনী এসেছিল কিন্তু আজকে সকালে চলে গেছে।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় একটি গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ শুরু হয়।রোববার দুপুরে ঐ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।শনিবার রাত থেকে চলতে থাকা সংঘর্ষে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এক বাসার দারোয়ানের বাদানুবাদকে ঘিরে।স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটের কাছে জোবরা গ্রামের একটি বাসায় ভাড়া থাকা এক ছাত্রী রাত ১১ টার পর ঐ বাসায় ঢুকতে চাইলে দারোয়ানের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দারোয়ান ঐ ছাত্রীকে শারীরিকভাবে আঘাত করে বলে জানান তারা।

এরপর ঐ ছাত্রী তার বন্ধুদের ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত তিনটার পর পর্যন্ত ঐ সংঘর্ষ চলে।

রোববার সকালে আবারো স্থানীয় লোকজন দুই নম্বর গেইট এলাকার আশেপাশে অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সেখানে গেলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

শেয়ার করুন