গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়্যব শাহ( রাঃ) এর প্রথম খলিফা ও আঞ্জুমানে রাহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট্রের সিনিয়র সহ সভাপতি মরহুম
আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর ( রাঃ) ৪৩ তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে মরহুম নুর মু. সওদাগর আলকাদেরীর স্মৃতি সংসদ ও শিশু কিশোর সংগঠনের যৌত উদ্যোগে বলুয়াদিঘী পাড়স্থ খানকা এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়তে মরহুমের সুযোগ্য শাহেবজাদা ও আঞ্জুমানে রাহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট্রের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহসিনের সভাপতিত্বে বর্ণট্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ২৯ আগস্ট ২১ ইং (রবিবার) বাদে মাগরিব স্মারক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

এসময় উপস্থিত বক্তরা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ জুলুসকে বিশ্বের সবচেয়ে জুলস দাবি করে বলেন,‘বিশ্বে এর চেয়ে বড় কোন জশনে জুলুস বা ধর্মীয় শোভাযাত্রা হয় না।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ব প্রথম জুলসটি বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া। ওই জুলুসে নের্তৃত্ব দেন আঞ্জুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ আল কাদেরি। এরপর ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ জুলুসে নের্তৃত্ব দেন সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ(রা.)। মূলত ১৯৭৬ সালের পর থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামের জুলুসের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। যা ক্রমান্বয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার, সংগঠন ও সংস্থাগুলোও আয়োজন করতে শুরু করে। ১৯৮৬ সালের পর থেকে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ এ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
অনুষ্টানে যেসকল আলেম পীর মাশায়েখ ভক্তানুরাগীরা উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন মরহুম নুর মুহাম্মদ শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি ছাবের আহম্মদ ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আহম্মদ ঈমু।
মরহুমের ওফাত বার্ষিকীতে উপস্থিত সকল অতিথি ও ভক্তানুরাগীদের জন্যে তাবরুকের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া সুন্নিয়া মাদ্রসার অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকারদরী ।এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো খানকা শরিফ।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৭৭